পি আই বি, কলকাতাঃ জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জেডআইএস)-এর বিজ্ঞানীরা মায়ানমার থেকে একটি নতুন ক্যাটফিশ আবিষ্কার করেছেন । জেডএসআই-এর অধিকর্তা ডঃ ধৃতি ব্যানার্জী জানিয়েছেন, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় চিন্দউইন নদীর নালায় মধ্যবিত্তের সংক্রান্ত সমীক্ষা করার সময় জেডএসআই-এর এক গবেষক ডঃ বাংদোন শাংনিনগাম মায়ানমারের সাগাইং ডিভিশনে একজন স্থানীয় মৎস্যজীবীর কাছ থেকে গ্লাইপ্টোথোরাক্স প্রজাতির তিনটি মাছ সংগ্রহ করেন । প্রথমে এগুলি চেনা যায়নি । নমুনাগুলির সতর্ক পরীক্ষার পরে এগুলি গ্লাইপ্টোথোরাক্সিইউএন-সিস বলে জানা গেছে ।
নতুন মাছটির নামকরণ হয়েছে স্থানীয় য়ুনদীর থেকে । মায়ানমারের ছিন্দউইন নদী উপত্যকায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী । ভারত থেকেও বেশকিছু শাখানদী রয়েছে।
সিসোরিড প্রজাতির গ্লাইপ্টোথোরাক্স বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ মাছ এবং সব জায়গায় পাওয়াও যায় । পূর্ব তুরস্কের-ও পূর্ব দিকে ইউফ্রেটিস নদীর নালা থেকে শুরু করে চীনের ইয়াংসে নদীর নালা এবং ভারতীয় উপমহাদেশের দক্ষিণে ও গ্রেটার সান্দা দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত এলাকায় এই মাছটি পরিচিত। গ্লাইপ্টোথোরাক্স প্রজাতির মাছ থাকে খরস্রোতা পাহাড়ি নদীতে । সেখানে তারা পাথরে লুকিয়ে থাকে শরীরের নীচে লাগানো একটি আঠা জাতীয় প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে । এর ফলে স্রোতে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ।
এই নতুন প্রজাতির ক্যাটফিস অন্য ক্যাটফিশের থেকে আলাদা, কারণ এর পেছন দিকে একটি অগভীর অ্যাডিপোজ পাখনা নিখুঁতভাবে লাগানো আছে । যার আগাটা লম্বাটে ছুঁচলো । থোরাসিক আঠালো প্রত্যঙ্গটির মধ্যে কৌণিক আকার ধারণ করে মধ্যিখানটা চাপা থাকে মাছটির। এই মাছের সামনের দিকে এবং দেহের আরেক দিকে রেখা রয়েছে, আছে দুটি সরু সরু হলদে দাগ-ও ।
মায়ানমার, চীন এবং ভারতে চিন্দউইন-ইরাবতী নালায় ১৫ ধরনের গ্লাইপ্টোথোরাক্স প্রজাতির মাছ রয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে এই নতুন প্রজাতিটিও । এই মাছটি খাওয়া যায় । স্থানীয় মানুষ খাওয়ার জন্যই এটি ধরে। জেডএসআই-এর বিজ্ঞানী ডঃ লাইশরাম কোসিগিন জানিয়েছেন, নতুন ক্যাটফিস সম্পর্কে গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ম্যাগনোলিয়া প্রেস সম্পাদিত জুটাক্সায় ২০২২-এর ২৬-শে এপ্রিল । জেডএসআই-এর ডঃ কোসিগিন ছাড়াও এই গবেষণাপত্রটি লিখেছেন ডঃ বাংদোন শাংনিনগাম।
No comments:
Post a Comment