বেঙ্গল মিন্স প্রতারণা !! - Songoti

বেঙ্গল মিন্স প্রতারণা !!

Share This

পায়েল পাল, কলকাতাঃ আগে বাংলা, বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত ছিল "What Bengal Thinks Today, India Thinks Tomorrow"। প্রতি মূহুর্তে নাম ডুবছে বাংলার। সেটি পড়াশুনো হোক বা কর্মসংস্থান। বিশেষত, লকডাউনের সময় বাংলার দিকে নজর দিলে দেখা গিয়েছিল বহু শতাংশ কর্মচারী জীবন - জীবিকা চালাবার জন্য মাইগ্রেটেড হয়েছেন। অপরদিকে শহরাঞ্চলের ভিন্ন দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বেড়েছে হকারসও, বাদ দিচ্ছেন না শহরের সিগনাল পয়েন্টগুলোও। সবটাই শহরবাসীরা মেনে নিলেও, ভরসা ছিল বর্তমান সরকারের সবচেয়ে গর্বের জায়গা সেক্টর ফাইভ।।


প্রতিদিন প্রান চঞ্চল সেক্টর ফাইভে আসে বহু তরুন তরুনী তাদের জীবন - জীবিকার তাগিদে। আর তাদের সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে গড়ে উঠছে ভুয়ো কোম্পানি। এতোদিন শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে  বহুতল বিল্ডিং এ, এসি ফ্লোর, ঝা চকচকে একটি মেঝে তাতে ভুয়ো কোম্পানী তদের কাজ চালাচ্ছে সেটি কি প্রশাসনের অজ্ঞাতাবস্থায় !! তাই প্রশাসনের নাকের ডগায় ভুয়ো কাজ হলেও অনায়াসে অগ্রাহ্য করা যেতেই পারত।।

  

এখন প্রশ্ন যারা কাজ করতেন তারা কেন এই বিষয়ে মুখ খোলেন নি? হয়ত এই বিষয়ে মুখ খুলতে চেয়েছিলেন, তাদের দমিয়ে দেওয়া হয়েছে যা মার্ক রবারের ভিডিও দেখলেই বোঝা যায়। প্রসঙ্গত বলে রাখি, সম্প্রতি নাসা এবং অ্যাপেল এর মতো সংস্থার প্রাক্তন কর্মচারী, আমেরিকান ইউটিউবার মার্ক রবার ও তাঁর টিম কলকাতায় এসেছিলেন ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধানে। যা কলকাতার সেক্টর ফাইভে ৩টি কোম্পানির সন্ধান পান ১. এ এন এস এইচ ইনফো সোলিউশন, ২. ভি আর এম বিজনেস সার্ভিসেস এবং ৩. মেট টেকনোলোজি। তাই মার্ক রবারের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি চেয়েছিলেন আইনিপথেই সমস্ত কাজ এগোতে। তবে সেটি ফলপ্রসূ হয় নি।নীচে মার্ক রবারের ভিডিও লিংক দেওয়া হল -


     পরবর্তীকালে মার্ক রবারের ভিডিও ভাইরাল হতেই, বহু টুইট এর পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তৎপরতার সাথে ৩টি কোম্পানির অপারেশনস বন্ধ করায়। 


এখন প্রশ্ন কারা, কেন এবং কী কাজ করেন ভুয়ো কোম্পানিতে ?  

প্রথমত, এই কোম্পানীতে কাজ করেন শিক্ষিত, গ্র্যাজুয়েট, দক্ষ ইংরেজী এবং কম্পিউটার জানা ছেলে-মেয়ে।।
দ্বিতীয়ত, আসলে এই প্রসঙ্গে আসতে গেলেই প্রথম প্যারা অনুযায়ী বলতে হয় কর্মসংস্থান।পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের পরিমান এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে জীবন-জীবিকা চালাতে এই রাজ্যের তরুন তরুনী বাধ্য হচ্ছেন এই কাজ করতে। কারন একটি লিমিটেড পরিমান মানুষই যোগ্যতা অনুযায়ী সুযোগ পাচ্ছেন আইটি ডিপার্টমেণ্ট এর কাজ করতে। ফলত, যারা বাকি আছেন তাদের উপায় নেই যে আদেও এই কোম্পানিটি ছেড়ে দিলে তাদের কর্মসংস্থান হবে কি না?
তৃতীয়ত, এই ভুয়ো কোম্পানির কাজ হলো, কোনো বয়স্ক - টেক স্যাভি নন এমন মানুষকে কল করা, বিভিন্ন কোম্পানীর নামে এবং আই ডি - ওটিপি - কোড নম্বর নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করা।।  

পরিশেষে, কথা কানে লাগলেও সত্যি যে সাত সমূদ্র তেরো নদী পেরিয়ে, ভিন রাজ্য থেকে মানুষ এসে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেল প্রতারণার ফাঁদটা ঠিক কোথায়। প্রশাসন তারপর তাঁর শীতঘুম ছেড়ে বেরিয়ে প্রেপ্তার করলেন। ফলত, দোষীরা শাস্তি পেলেন ঠিকই তবে রাজ্যের মান বিশ্বের কোথায় দাঁড়িয়ে তা নিয়ে বিস্ময় !!!! 

No comments:

Post a Comment