এবার পূর্ব ভারতেও হিয়ারিং সলিউশন, রাজ্যে ছয়টি ক্লিনিক - Songoti

এবার পূর্ব ভারতেও হিয়ারিং সলিউশন, রাজ্যে ছয়টি ক্লিনিক

Share This

দেবপ্রিয় মণ্ডল, কলকাতাঃ এবার কলকাতায় ক্লিনিক খুলল হিয়ারিং সলিউশন। সব মিলিয়ে ভারতে ৪৫টিরও বেশি ক্লিনিক রয়েছে সংস্থার। এদিন হোটেল হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনালে প্রেস কনফারেন্স করে জানালেন সংস্থার ডিরেক্টর রাজাপান্ডিয়ান। এদিন উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা সঈদ কৃমাণি। বললেন, “হিয়ারিং এড কোনো খারাপ জিনিস নয়। এটা সবসময় ব্যবহার করা যায়”। বলতে বলতেই খুলে দেখালেন নিজের হিয়ারিং এড। সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত হতে পেরে খুশি ক্রিকেট তারকা। এদিন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্বল্পশ্রবণক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ শিশুর কানে পরিয়ে দেন একজোড়া করে শ্রবণযন্ত্র। জানান তিনি প্রায় ১০-১২ বছর ধরে ব্যবহার করছেন হিয়ারিং এড। সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন শিভান্তোষ ইন্ডিয়া প্রা.লি.এর প্রধান অবিনাশ পওয়র, হিয়ার ডট কমের প্রধান পিযূষ জৈন ও সংস্থার ব্যাবসায়িক প্রধান শুভায়ু দাশ।



প্রসঙ্গত, বিশ্বে ২৫০মিলিয়ন মানুষ কানে কম শোনেন যার ৬০ মিলিয়নই ভারতীয়। পরিসংখ্যান বলছে প্রতিযোগিতার নিরিখে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এর প্রধান ভুক্তভোগী প্রবীণ ও শিশুরা। শিশুদের ক্ষেত্রে কম শোনার জন্য আবার ভাষা শেখায় সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণ মানুষ আবার হিয়ারিং এড ব্যবহারে সচেতন নন। রাজাপান্ডিয়ান জানান, “ভারতে কানে কম শোনা তৃতীয় সাধারণ একটি সমস্যা। ভবিষ্যতে সমাজে এর প্রভাব হবে মারাত্মক। আমাদের প্রচেষ্টা এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান বের করে বাণিজ্যিক ভাবে একটি বিপ্লব ঘটানো”। প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে অবিনাশ পওয়র বলেন, “শুরুতেই চিকিৎসা হলে সমস্যা গভীর হতে পারে না। বাংলায় ক্লিনিক খোলায় বিশ্বমানের টেকনোলজির সুবিধা নিতে পারবেন এরাজ্য ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যের মানুষ”। পীযূষ জৈন জানিয়েছেন তাঁরা ভারতের টেকস্যাভিদের জন্য একটি সিস্টেম তৈরি করছেন যেখানে অনলাইন ও ফোনকলের মাধ্যমে ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যাবে। শুভায়ু দাশ বলেন, “জনসচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে যন্ত্রেও বদল এসেছে। ১০হাজার থেকে ৩লাখ দামের যন্ত্র বাজারে পাওয়া যায়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। একবছর মেয়াদি ব্যাটারির পাশাপাশি এসেছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যাটারিযুক্ত যন্ত্রও। যন্ত্রগুলি অন্তত ২-৩বছর ওয়ারেন্টি থাকে এবং ১০-১২বছর ব্যবহার করা যায়। তবে আমরা দেখেছি যন্ত্র কিনলেও অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। ডিজিটাল যন্ত্রগুলি ব্যবহারের জন্য প্রথমে প্রোগ্রামিং করে নিতে হয়। এবিষয়ে তাঁদের ক্লিনিক থেকেই সাহায্য করা হবে”। সঈদ কৃমাণি এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি এখানে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। ভালমানের টেকনোলজি ও সুবিধা দিতে দায়বদ্ধ এই সংস্থার উদ্যোগ অত্যন্ত ভাল”। তিনি অনুরোধ করেন হিয়ারিং এড ব্যবহারে সাধারণের যে অবহেলা রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে। বলেন তিনি হিয়ারিং এড ব্যবহার করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন।

No comments:

Post a Comment