"আমরা নয় মাস - দশ মাস যে ধরে কাজ করেছি, আজ তার টাকা ভিক্ষে চাইতে হচ্ছে আমাদের. কেন? " - প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় - Songoti

"আমরা নয় মাস - দশ মাস যে ধরে কাজ করেছি, আজ তার টাকা ভিক্ষে চাইতে হচ্ছে আমাদের. কেন? " - প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

Share This

নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতাঃ আবার ফের টেলিভিশন কলাকুশলীদের বকেয়া টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া নামক প্রযোজক সংস্থার বিরুদ্ধে। টেলিফ্লিমের শ্যুটিং নিয়ে আবার সংশয় টলি পাড়ায়, তারই জানান দিতে ওয়েস্টবেঙ্গল মোশন পিকচার আর্টিস ফোরাম এক জরুরী সাংবাদিক বৈঠকে বসে। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফোরাম সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সাধারন সম্পাদক অরিন্দম গাঙ্গুলী, ভরত কল, শঙ্কর চক্রবর্তী, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, সৌমেলি বিশ্বাস সহ অনেক কলাকুশলীরা। দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া'র প্রযোজনায় মোট ৫ টি মেগারিয়াল প্রযোজিত হয়েছিল - সেগুলি হল জয় বাবা লোকনাথ (জি বাংলা), আমি সিরাজের বেগম(স্টার জলসা), খনার বচন (কালার্স বাংলা), মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (কালার্স বাংলা), প্রথম প্রতিশ্রুতি (কালার্স বাংলা)। ফোরাম সদস্য ও সদস্যা'দের বক্তব্য আগেও এই প্রযোজক সংস্থা কলাকুশলীদের বকেয়া টাকা দিতে দেরী করেছে। গত ৭ থেকে ৮ মাস ধরে বহু অভিনেতা অভিনেত্রীরা আর্থিক দূর্ভোগে আছেন। এই পাঁচটি মেগাসিরিয়ালের মধ্যে প্রথম প্রতিশ্রুতি গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়ে যায়। অন্য চারটি প্রযোজনা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলি গত ১৬ মার্চ তারিখ থেকে হাত বদল করে অন্যান্য প্রযোজকদের দিয়ে দেয়। কিন্তু, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকের এক বিরাট অংশ এখনও বাকি, 


সেই মূল্য প্রায় এক কোটি তেত্রিশ লক্ষ। ফোরামে বক্তব্য, নতুন প্রযোজকদের কাছে হাত বদল এর সময় সংশ্লিষ্ট সমস্ত চ্যানেল আর্ট ফোরাম ও ফেডারেশনকে প্রতিশ্রুতি দেয়, যে তাদের সদস্যদের যে টাকা বকেয়া রয়েছে সেই টাকা চ্যানেলের কাছে সুরক্ষিত রয়েছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আজ প্রায় আড়াই মাস হতে চলল, দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া কারওর তরফ থেকে সেই বকেয়া টাকা মেটানোর কোনও প্রয়াস দেখায়নি। ফোরাম, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে অসংখ্য মিটিং করেছে - চিঠিপত্র আদানপ্রদান করেছে - কিন্তু বিভিন্ন আইনি অজুহাতে অভিনেতা অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে।।


আটিস ফোরাম এই অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ করেছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাবে এবং এর জন্য যদি প্রয়োজন হয় সংগঠন, গণ আন্দোলনে নামবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এদিন সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, "আমার কাজের টাকা যে টাকা আমি নয় মাস- দশ মাস ধরে কাজ করেছি, আজ ভিক্ষে চাইতে হচ্ছে আমাদের। কেন? আমি আমার শ্রমের টাকা ভিক্ষে চাইব কেন? এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না।।"

No comments:

Post a Comment