দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও ভাল করতে দ্য বেঙ্গল চেম্বারের সঙ্গে আলোচনায় চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি - Songoti

দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও ভাল করতে দ্য বেঙ্গল চেম্বারের সঙ্গে আলোচনায় চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি

Share This
বার্তা প্রতিবেদন, কলকাতাঃ অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদন বৃদ্ধির নিরিখে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে পৃথিবীর তৃতীয় দ্রুত বেড়ে চলা  দেশ হিসেবে উঠে আসতে চলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের এক রিপোর্টে তেমনই বলা হয়েছে। ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা এবংসম্ভাবনা’ শীর্ষক রিপোর্টে বাংলাদেশের জায়গা দক্ষিণ সুদান এবং ভারতের  পরই, বৃদ্ধির হার ৭.‌৪, যেখানে ভারতের ৭.‌৬ এবং সুদানের ৮ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার ভারতের সবথেকে বড় বাণিজ্যিক বন্ধু বাংলাদেশ। বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পারস্পরিক সহযোগিতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ শক্তি, নিরাপত্তা একে আরও বাড়ানোর শক্তি  দিয়েছে। পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ এবং আখাউরু–আগরতলার মধ্যে রেল যোগাযোগও ব্যবসা বৃদ্ধির আরও একটা উল্লেখযোগ্য দিক।


এই দু’দেশের বাণিজ্যের সবথকে বড় দিক বাংলাদেশ ভারতের শুল্কমুক্ত বাজারের সুবিধে নিতে পারছে। আর এর ফলে বিশ্বের বড় বড় সংস্থা এদেশ কাজ শুরু করতে পারছে। বাংলাদেশ এ দেশের শুল্কমুক্ত বাজার পাচ্ছে। আর ভারতে দুনিয়ার নামকরা সব সংস্থা আউটলেট খুলছে। ভারতের বস্ত্র শিল্পও বাংলাদেশের হাত ধরে উপকৃত হচ্ছে।শক্তি, বস্ত্র, কৃষিউ, মৎস্য, স্বাস্থ্য, রিয়েল এস্টেটের মধ্যে ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে। এই  সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে  চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (‌সিসিসিআই)‌এর এক প্রতিনিধিদল এসেছিলেন কলকাতায়। নেতৃত্বে বাংলাদেশের বণিকসভার   প্রেসিডেন্ট মহবুবুল আলম। সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ১১ জন সদস্য। এই উদ্যোগ নিয়েছিল দ্য বেঙ্গল চেম্বার। ৩০ জানুয়ারি ওই প্রতিনিধিদল দ্য বেঙ্গল চেম্বারের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

‘২০১৫ সালে দ্য বেঙ্গল চেম্বারের এক প্রতিনিধিদল গিয়েছিল চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড       ইন্ডাস্ট্রির দপ্তরে। প্রতিবেশি দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক আদানপ্রদান আরও বাড়ানোর বিষয়ে       আলোচনা হয়েছিল তখন। পরের বছর, ২০১৬ সালে দ্য বেঙ্গল চেম্বার ফের একবার সেখানে গিয়েছিল।চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে। তাঁদের সাড়া পেয়ে ২০১৭ সালে আরও একবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। ভারতবাংলাদেশ বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই ধারা বজায় রেখে, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান আরও বাড়াতে ২০১৮ সালে দ্য বেঙ্গল চেম্বার ২০১৮ সালেও গিয়েছিল সেদেশে। কিছুদিন আগে আমরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘বাংলা উৎসব’এর আয়োজন করেছিলাম। সহযোগিতা‌য় বন্ধন ব্যাঙ্ক, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন               (‌বাংলাদেশ), নাথিং বিয়ন্ড সিনেমাজ, চলতি বছরে ‌জানুয়ারি মাসে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল


দু’দেশের বন্ধন আরও শক্ত করা। চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের এখানে আসা সেই কর্মসূচিকই আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাড়বে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বি.টু.বি, যোগাযোগ।’ বললেন দ্য বেঙ্গল চেম্বারের ডিরেক্টর জেনারেল শুভদীপ ঘোষ।

দ্য বেঙ্গল চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দেব এ মুখার্জি বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলি বিশেষ    করে বাংলাদেশের বণিকসভাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভাল করতে দ্য বেঙ্গল চেম্বার কাজ করে চলেছে। নিত্যনতুন দিকে নিয়ে আলোচনা চলছে। চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বস্ত্র, স্বাস্থ্য, রিয়েলস এস্টেট, কৃষি, জাহাজ, লজিস্টিকস, গাড়ি তৈরির যন্ত্রাংশ, বিদ্যুৎ শক্তি ক্ষেত্রের  শিল্পোদ্যোগীরা। কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ শক্তি নিয়ে বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। এ   কাজে তারা ভারতের সাহায্য চায়। আমরা আশাবাদী দুই বণিকসভার আলোচনায় নতুন দিক খুলে যাবেপারস্পরিক সম্পর্ক আরও ভাল হবে, বাড়বে বাণিজ্যও।’ 

No comments:

Post a Comment