কলকাতা: শিল্প বা শিল্পীর স্বাধীনতা আমাদের দেশে যেন সোনার পাথরবাটি। শিল্প মাধ্যমটি যদি সিনেমা হয় তাহলে তো কথাই নেই! সেন্সরের কাঁচি, রাজনীতিকদের অসহিষ্ণুতা, রাস্তায় নেমে বা লোকজনকে নামিয়ে ছবির শুটিংয়ে হামলা, হলে প্রদর্শন আটকানোর প্রবণতার ইতিহাস এ দেশে দীর্ঘ। কেন এই বাধার ব্যাধি? ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয় নাকি আমার মত বা মতাদর্শই সেরা, সেই মনোভাব? বাংলায় সুদীপ্ত সেন পরিচালিত 'দ্য কেরালা স্টোরি' প্রদর্শনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা এবং সুপ্রিম কোর্টে তা খারিজের প্রেক্ষিতে কাঁচিবাজদের অসহিষ্ণুতার লম্বা কাহিনি দেখে নিল TV9 বাংলা। বেশ কয়েকটি ছবি দেখানো বন্ধ হলেও সরকারি হুকুমনামা জারি করে সিনেমাহলে কোনও ফিল্ম প্রদর্শন বন্ধ এর আগে বাংলায় ঘটেনি।
তবে অসহিষ্ণুতায় ডান বা বাম, কোনও পক্ষই কম নয়! নয়ের দশকের গোড়ায় 'সিটি অফ জয়'-এর শুটিং-স্মৃতি ভোলেননি অনেকেই। বামেদের তীব্র আপত্তিতে বরবাদ হয়ে যায় দোমিনিক লাপিয়েরের উপন্যাস 'সিটি অফ জয়' অবলম্বনে ছবির শুটিং। সাময়িক পাতাতাড়ি গোটাতে হয় পরিচালক, অস্কারজয়ী রোলা জোফের ইউনিটকে। এক অসুখে ভুগতেন জাতীয়তাবাদী নেতারাও। দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে কোন কোন ছবি? কী কী যুক্তি ছিল তার পিছনে? 'দ্য কেরালা স্টোরি'তেই বা কী আছে, যা নিয়ে মাঠে নেমে পড়ল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার? শুধু কি প্রোপাগান্ডা ছবির অজুহাত, নাকি সেই পুরনো অসহিষ্ণুতার অসুখ? কে কোন ছবি দেখবেন না দেখবেন না, সেটা কি সরকার বা কোনও স্বার্থন্বেষী পক্ষ ঠিক করে দিতে পারে? আপনার পছন্দ না-হলে ছবি দেখবেন না, হলে দেখবেন, এমন মনোভাব এখানে কি আদৌ গড়ে উঠতে পারে? এ সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজল TV9 বাংলা। সঙ্গে চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এবার TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ 'নিষিদ্ধ সিনেমা'। ২১ মে, রবিবার রাত ১০টা।
No comments:
Post a Comment