ঋণ গ্রহিতাদের হয়রানি না করার দাবি জানিয়ে জেলাধাসককে স্মারকপত্র মিশনের - Songoti

ঋণ গ্রহিতাদের হয়রানি না করার দাবি জানিয়ে জেলাধাসককে স্মারকপত্র মিশনের

Share This

 

পাঞ্চজন্য রায়, করিমগঞ্জ : Bandhan bank সহ বিভিন্ন microfinance company থেকে ঋণ গ্রহিতারা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন। গ্রামাঞ্চলের অসহায় মহিলারা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন করে পরিবার পরিচালনা করতেন।কিন্তু corona কালে lockdown-র দরুন উপার্জনের মাধ্যম হারিয়ে পথে বসেছেন ঋণ গ্রহীতা মহিলারা। প্রায় ১ বছর ধরে কোনও কাজকর্ম না থাকায় পুঁজি প্রায় শেষ হওয়ার পথে। পরিবার পরিচালনা করাই এখন ঋণগ্রস্ত মহিলাদের কাছে দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে পারিবারিক অভাব-অনটন আর অন্যদিকে আর্থিক সংস্থা থেকে কিস্তির তাগদা। এই দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ে মহিলাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায়ন্তর না পেয়ে অসহায় মহিলারা BJP নেতা তথা AIDC chairman মিশনরঞ্জন দাসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

মিশন দাস মহিলাদের কাছে তাদের করুন কাহিনি শুনে, এ ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে Bandhan bank সহ বিভিন্ন microfinance company থেকে যারা ঋণ নিয়েছেন তাদের হয়রানি না করার দাবি জানিয়ে শুক্রবার জেলাশাসক আমবামুথান এমপি-র হাতে ১টি স্মারকপত্র তুলে দেন AIDC chairman মিশনরঞ্জন দাস।

জেলাশাসকের কাছে বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরে মিশন দাস বলেন, microfinance company-র অধীন Bandhan সহ বিভিন্ন bank থেকে ঋণ নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েছে অনেক পরিবার। ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে পরিবার চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু corona অতিমারি lockdown শুরু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। স্তব্ধ হয়ে পড়ে সাধারণ জনজীবন। পরিবারের ভরণ-পোষণ জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে দরিদ্র পরিবারগুলোর। Lockdown শেষ হওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে সর্বত্র। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। এমনকী bank থেকে ঋণ হিসেবে যে টাকা গুলো নিয়েছেন সেগুলো পরিবারের ভরণ-পোষণে শেষ হয়ে গেছে। এখন সংশ্লিষ্ট bank গুলোর আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণের কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য মহিলাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। যার ফলে গরীব পরিবারগুলোকে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান মিশন। 


তিনি বলেন, lockdown শেষ হওয়ার পর অনেকের পুরনো ব্যবসা ফিরিয়ে আনতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকে তো আবার টাকার অভাবে পুনরায় ব্যবসায়ই শুরু করতে পারেননি। টাকাগুলো নেওয়া হয়েছে ব্যবসা করে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি হিসেবে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এসব বাস্তব সমস্যা না বুঝে সংশ্লিষ্ট company-র আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের উপর কিস্তি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। Company-র আধিকারিকরা যাতে চাপ সৃষ্টি না করেন সে জন্য বিহিত ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মিশন দাস। মিশনরঞ্জন দাসের কাছে সব শুনে খুব শীঘ্রই bank কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক আনবামুথান এমপি।

No comments:

Post a Comment