সবাইকে সাথে বাঁধে’ - আইটিসি লিমিটেডের এই মতাদর্শকে সামনে রেখে সংস্থার ফুডস ডিভিশন রিটেলারদের সুরক্ষার কথা ভেবে একটি রিটেল এনগেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ নিয়েছিল। এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছিল সারা দেশে ২০ হাজারের বেশি রিটেলারকে।
এই কর্মসূচিতে তাদের সুরক্ষার দিকগুলো খতিয়ে দেখা হয়। যাতে এই অতিমারির সময় তাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমে। রিটেলাররা হলেন সংস্থার একবারে প্রথম সারির গ্রাহক। এই কঠিন সময়ে তারা যাতে একটা সুরক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ক্রেতাদের পরিষেবা দিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করাটাই ছিল এই প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য। রিটেলাররা হলেন পাইকারি ব্যবসার প্রধান স্তম্ভ, কারণ তারাই তো ক্রেতাদের কাছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন দোকানে প্রোটেক্টিভ উইন্ডো শিল্ড, সুরক্ষা সামগ্রী এবং সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং কার্টেনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। যাতে তারা পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা চালাতে পারেন।
আশীর্বাদ, সানফিস্ট বিস্কিটস, সানফিস্ট ইপ্পি!, বি ন্যাচরাল, আশীর্বাদ স্বস্তি এবং ক্যান্ডিম্যান-এর মতো আইটিসি ফুডস-এর অগ্রণী ব্র্যান্ডগুলি এই কর্মসূচিকে রিটেলারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। একটি দোকানে সারা দিনে নানা ধরনের ক্রেতা আসেন, একজন দোকানিকে এদের সকলের সঙ্গে কথা বলতে হয়, চলে টাকা পয়সার লেনদেন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন দোকানি বা রিটেলারের কাজটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং এবং পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা এখন ভীষণ ভাবে জরুরি। এই সব ব্র্যান্ডগুলি রিটেলারদের কাছে উন্নত মানের সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিল, যাতে দোকানে থাকাকালীন তারা সুরক্ষিত থাকেন। প্রোটেক্টিভ শিল্ড এবং সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং কার্টেন পলিমারাইজিং ভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) দিয়ে তৈরি এবং উইন্ডো শিল্ড ফ্রেমসগুলি তৈরি রিসাইক্ল করা করোগেটেড প্লাস্টিক দিয়ে, যা দেয় সর্বোচ্চ মানের সুরক্ষা।
এতেই শেষ নয়, রিটেলারদের সুরক্ষার জন্য আইটিসি ফুডস উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ এবং পূর্বের বিভিন্ন মেট্রো শহরে স্যানিটাইজেশন কর্মসূচি চালিয়েছে। আগামিদিনে অন্যান্য শহরেও তা করা হবে। একই সঙ্গে উইন্ডো শিল্ড সারা ভারতে বলবৎ করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে আইটিসি ফুডস-এর এক মুখপাত্র বলেন, “বছরের পর বছর ধরে সারা দেশে আমাদের রিটেলারদের মজবুত নেটওয়ার্ক নিরলস কাজ করে গেছে। ফলে ক্রেতাদের কাছে আমাদের পণ্য পৌঁছে দিতে কোনও সমস্যা হয়নি। আমাদের ব্র্যান্ডগুলির সাফল্যের নেপথ্যে যা অন্যতম কারণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের এই অবদান আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্র্যান্ডের দায়িত্বপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আমরা ভীষণ ভাবে মনে করি যে তাদের এই দৃষ্টান্তমূলক অবদান এবং পরিষেবার জন্য আমরাদেরও উচিত তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। আমরা আশাবাদী যে এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আমরা দোকানিদের সুরক্ষিত এবং পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করার বন্দোবস্ত করতে পারব, যাতে তারা এই কঠিন সময়ে ক্রেতাদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান করতে পারেন।”
এই কর্মসূচির প্রাথমিক পর্ব দেশের দক্ষিণের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে এবং শীঘ্রই সারা ভারতে তা ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের লক্ষ্য ২৫ হাজারের বেশি রিটেলারের কাছে পৌঁছে যাওয়া।
No comments:
Post a Comment