ভার্চুয়াল জগতের মধ্য দিয়েই ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা - Songoti

ভার্চুয়াল জগতের মধ্য দিয়েই ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা

Share This
অন্ধকারের মধ্যে সব সময় অন্ধকারকেই না খুঁজে তার মধ্য থেকেই আলোর সন্ধান করে নিতে হয়। প্রতিটি খারাপের মধ্যেই অনেক কিছু ভাল লুকিয়ে থাকে। আমাদের কাজ হল সেই ভাল দিকটা খুঁজে বার করা। শেষ ৭ বছরে ভারতীয় অর্থনীতির এতটা বেহাল চিত্র বোধ হয় আগে কখনও দেখা যায়নি। ২০১৯–২০ আর্থিক বছরে জিডিপি গ্রোথ ৪.৭ শতাংশ। ফলে চাকরির বাজার জুড়ে একটা অনিশ্চয়তার আবহাওয়া তৈরি হয়েছে।
এই যে কোভিড –১৯ এর জন্য সব দিকে গেল গেল রব উঠেছে, তার মধ্যেও ভাল দিক হল, জাপান এবং আমেরিকা তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে ভারতের দিকে নজর দিয়েছে।  তাদের এখন লক্ষ্য, lচীন থেকে ব্যবসার অভিমুখ ঘুরিয়ে ভারতের দিকে নিয়ে আসা। যাবতীয় পরিকল্পনা করে ভারতের মাটিতে তাদের উৎপাদন শুরু হতে হতে বছর দুই লেগে যাবে। জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখন এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে।


   কিছুদিন আগেই ৪০টির বেশি বিখ্যাত সব কোম্পানী দিয়ে অনলাইন ক্যাম্পাসিং করিয়েছে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। অন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও এখন সেই পথেই হাঁটার চেষ্টা করছে। তবে আগামী দিনের কথা ভেবে নতুন ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অন লাইন অ্যাডমিশনের উপর বেশি জোর দিচ্ছে জর্জ টেলিগ্রাফ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে একটা ব্যাপার কিন্তু সকলের অলক্ষ্যে ঘটে চলেছে। এই মুহূর্তে মানুষ নতুন করে কোনও বিলাসিতার জিনিস, যেমন গাড়ি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, এসি মেশিন না কিনে জোর দিচ্ছে আবশ্যিক জিনিসের উপর। তাহলে গাড়ি, ফ্রিজ, এসি এগুলি খারাপ হয়ে গেলে চলবে কী করে? সেই জন্যই এই মুহূর্তে চাহিদা বাড়বে টেকনিসিয়ানদের। যাঁরা দক্ষতার সঙ্গে অনেকদিনের ব্যবহৃত জিনিসকে এই সময় ভাল সার্ভিসিংয়ের মাধ্যমে ভাল রাখতে পারবে। জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সহ অন্যান্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির নজর এড়ায়নি ব্যপারটা। ফলে তারা এখন বিভিন্ন বিভাগের অন লাইন টেকনিসিয়ান কোর্সের উপর জোর দিয়েছে।
এই মুহূর্তে যে ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে, আর্থিক মন্দা কাটিয়ে দু’বছর পর যখন ভারতের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে, তখন সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে তাঁরাই। তবে দু’বছর পরে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের দিকে তাকিয়ে শুধু বসে থাকলে হবে না। তার জন্য নিজেকে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। আর তারজন্য লকডাউন পিরিয়ডে অনলাইন অ্যাডমিশনের উপরে প্রচণ্ডভাবে জোর দিয়েছে দ্য জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। পাশাপাশি শিক্ষান্তে ছাত্র ছাত্রীরা যাতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে হতাশায় নিমজ্জিত না হয়, তার জন্য দেশ জুড়ে আরও বড় বড় কোম্পানীগুলির সঙ্গে সংযুক্তিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। বলছিলাম না, কোনও অন্ধকার রাস্তার শেষেই দেখা যায় আলোর সন্ধান। সেরকম কোভিড–১৯ এর জন্য বাজার জুড়ে এই অনিশ্চিত অবস্থা তৈরি না হলে, ভার্চুয়াল জগতটা এতটা জায়গা নিতে পারত না। আর এটাই ভবিষ্যৎ, সেটাও সবাই বুঝে গিয়েছে। তাই সরাসরি ক্লাস বন্ধ, অ্যাডমিশনের সমস্যা, পরীক্ষার সমস্যা এগুলো নিয়ে চিন্তিত না হয়ে, ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে আরও বেশি নিজেদের মানিয়ে নিয়ে নতুন পদ্ধতির মধ্য দিয়েই ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে নেমে পড়েছে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিউটের মত বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

No comments:

Post a Comment