নিজস্ব প্রতিবেদন, বীরভূমঃ কালচারাল হাবটি'র বয়স মাত্র ১০ দিন। তার মধ্যেই হাবটি আয়োজন করেছিল একটি আন্তর্জাতিক মিলনসভা। হাবটি'র নাম সেঁজুতি। কর্নধার মানসী দাস। হাবটি'র সভাপতি হিমাংশু হালদার ও সম্পাদিকা কবি কৃষ্ণা বসু।।
সেঁজুতি'র এই অনুষ্ঠানের নির্ঘন্ট ছিল বসন্তোৎসব, রবি'র দেশ অর্থাৎ শান্তিনিকেতন বোলপুর। স্থানটি'র নাম নিভৃত পূর্নিমা নাট্য গ্রাম, মনোরম গ্রামটি সাজাচ্ছেন সাদেক আলি।।
গত ২২ শে মার্চ সেঁজুতি'র আয়োজনে বসন্তের মিলনোৎসবে উপস্থিত ছিলেন কবি সৈয়দ হাসমত জালাল, সাংবাদিক চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য, কবি বৈজয়ন্ত রাহা, কবি দীপঙ্কর মুখার্জী, সঙ্গীতজ্ঞা মৌমিতা মুখার্জী, সঙ্গীতজ্ঞা সঙ্গীতা রাহা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর আরিফ হায়দার সহ অনেকেই।।
মূল অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা'র দ্বায়িত্বে সঙ্গতি'র ডিরেক্টর পায়েল পাল ও অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কবি সৈয়দ হাসমত জালাল। সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি'র উদ্বোধন করেন বাউল গোবিন্দ ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানটি কেবল গান বা কবিতাতেই থেমে ছিল তা নয়, ছিল বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা। যেমন -
লালন স্মৃতি সম্মানে সম্মানিত হলেন সাংবাদিক চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য। বাংলা উপন্যাসের কোনো এক ঔপন্যাসিক'এর উপন্যাসের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছরের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে উপন্যাসের মূল ভিত্তি'র সঙ্গে হিন্দু'র মা দূর্গাকে তিনি প্রমান সহ যেমন খুঁজে বের করেন মুসলমানের উঠোনে তেমনি তিনি খুঁজে পান কোনো এক বাঙালি রোজা পালন করেন প্রাক ঈদ মূহুর্তে। চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্যের এই সমস্ত তথ্যই প্রান পেয়েছে "মুসলমানের দূর্গাপূজো" নামক শীর্ষক বইতে। কাজেই সেঁজুতি'র লালন স্মৃতি সম্মান হিন্দু'র ও মুসলমানের সম্প্রীতি'র বার্তা বাহক হিসেবে চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্যকে প্রদান করা হয়েছে।।
অপরদিকে কবি বৈজয়ন্ত রাহা সম্মানিত হয়েছেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় স্মৃতি সম্মানে। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে কলমকে যিনি বন্ধু করেছেন তিনি কবি বৈজয়ন্ত রাহা। মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর কবিতা। যার ইতি মধ্যেই দুটি গদ্যের বই, একটি বিশ্বসাহিত্যের অনুবাদ গ্রন্থ ও ৯টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত। ২০১৮'য় শেষের দিকে কবির দশমতম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় নাম "অতলে আগুন স্থির"। যে কাব্যগ্রন্থের ছন্দের গতি প্রকৃতি বিচিত্র। কবি'র আরো দুটি কাব্যগ্রন্থ অক্ষর উড়ান ও মূহুর্তের রঙ বিষাদ থেকে সম্পূর্ন অন্য স্টাইলে পাঠক আবিষ্কার করেছেন কবি বৈজয়ন্ত রাহাকে। তাই পাঠকের জনপ্রিয়তাকে অব্যাহত রাখার জন্য সেঁজুতি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষতে কবি বৈজয়ন্ত রাহাকে প্রদান করল।।
এছাড়াও নাট্য নির্দেশক শম্ভু মিত্র স্মৃতি সম্মানে সম্মানিত হলেন বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ আরিফ হায়দর।।
সম্মান ভালোবাসায় পরিপূর্ন হলেও শেষে বাংলাদেশে'র লোকশিল্পী সঙ্গীতজ্ঞ সামসুল হুদা'র গানে ইতি টানছিল সেঁজুতির অনুষ্ঠান। রবি'র দেশে প্রত্যেক মন একি কথা বলেছিল "শেষ হয়েও হইল না শেষ" ।।
No comments:
Post a Comment