নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিন দিনাজপুরঃ বাঙালীর ভোজএ শেষ পাতে চাটনি ছাড়াও কাটা ফল হিসেবে সবার কাছে এই সুস্বাদু ফল সমান ভাবে সমাদৃত।এছাড়াও আনারস পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যান পালন দপ্তর বালুরঘাট ব্লকে পরীক্ষা মূলক ভাবে আনারস চাষ করে সফলতা পেয়েছে। গত দু বছর ধরে আমিনপুর এলাকায় আনারস চাষ করে লাভের মুখ দেখছে কৃষকেরা। জেলায় আনারস চাষে ঝুঁকছে কৃষকেরা।।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সমরেন্দ্র নাথ খাড়া বলেন জেলাতে বালুরঘাট ব্লকে আমরা পরীক্ষা মূলকভাবে আনারস চাষ শুরু করেছিলাম সফলতার সাথে আনারস চাষ প্রকল্প সফলতা পেয়েছি। দুবছর ধরে ১ একর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। অন্যান চাষের তুলনায় বেশি অর্থ উপার্জন করতে পেরেছে কৃষক।এখন অনেক কৃষক আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে আনারস চাষের জন্য। সরকারি সহযোগিতায় আনারস চাষের জন্য কৃষকদের সাহায্য করা হবে.প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে আনারসের চারা দেওয়া হবে। আনারস চাষের সাথে যুক্ত হলে সরকারি ভাবে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করা হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জৈব পলি মাটি ও আবহাওয়া আদর্শ হওয়ার কারণে আনারসের গুণগতমান ভালো হবে।।
কৃষক গোপাল পাহান বলেন জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক আনারস চাষ করতে আমাকে সাহায্য করেছে। সব ধরণের সাহায্য পেয়েছি সরকারি ভাবে আনারস চাষ করতে গিয়ে। জেলার উৎপাদিত আনারস রসে মিষ্টিতে ভরপুর। পর্যাপ্ত ফলন হচ্ছে আনারসের এই জেলাতে। আনারস চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষক ভায়েরা আনারসের চারা গাছ নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান ফসলের তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক চাষ আনারস। প্রতি হেক্টর আনারস উৎপাদন করতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ও আনারস উৎপাদন হয় প্রতি হেক্টরে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা। জেলায় আনারস ব্যাপক আকারে উৎপাদন করলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে। এই জেলাতে ভালো বাজার রয়েছে আনারসের। গোপাল বাবু জানান তিনি বছরে ২ লক্ষ টাকা আনারস বিক্রি করেছেন জেলার বাজার।।
No comments:
Post a Comment