দেন। হালুইকর কি করবেন তখন তো আর এত রকমের জলখাবারের রেসিপি জানা ছিল না। হঠাৎ করে ধরিত্রী দেবী অনার স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে তিনদিন সময় চান এবং বলেন যে তিনি এমন লুচি তরকারি বানাতে পারেন যা আধঘন্টা গরম থাকবে। বাড়ি ফিরে তিনি ভাবতে থাকেন কি করা যায়, ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে বেলা লুচির মধ্যে তরকারি ভরে তিনকোনা করে মুড়ে তেলে ভেজে ফেলেন, এইভাবে সিঙ্গারা উৎপত্তি, যা ভাজার পরেও বেশ কিছুক্ষণ গরম থাকে, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের খুব পছন্দ হয় এবং রাজ হালুইকরের প্রাণরক্ষা পায়।
কথিত আছে, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় কলিঙ্গ তথা বর্তমানে ওড়িষ্যা থেকে আগত রাজ হালুইকরের ষষ্ঠপুত্র গিরীধারী হালুইকরের স্ত্রী ধরিত্রী দেবী ১৭৬৬ সালে প্রথম সিঙ্গারা আবিষ্কার করেন। এর পিছনে একটি বেশ সুন্দর গল্প আছে। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মধুমেহ রোগের জন্যস্বল্প আহার করতে রাজবৈদ্য পরামর্শ দেন। ফলে রাজার বারবার ক্ষিদে পেতে থাকত। কিন্তু ঠান্ডা হয়ে যাওয়া লুচি তরকারি উনি খেতে না পারায় ফেরত পাঠাতে থাকেন এবং রেগে গিয়ে রাজ হালুইকরকে শূলে চড়ানোর নির্দেশ
No comments:
Post a Comment