বশ ইন্ডিয়ার শতবার্ষিকী উদযাপন - Songoti

বশ ইন্ডিয়ার শতবার্ষিকী উদযাপন

Share This


ভারত — বশ ইন্ডিয়ার শতবর্ষের যাত্রপথ হল ঝলমলে সব উদ্ভাবনের কাহিনি যা ধরা রয়েছে Spark.NXT প্রতীকচিহ্নের মধ্যে যার উদ্বোধন করা হয়েছিল শতবার্ষিকীকে স্মরণ করে রাখা উপলক্ষ্যে। Spark.NXT হল সেই শক্তির প্রতীক যা সংস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং যার মধ্যে বিধৃত রয়েছে উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গী। বশ-এর শতবার্ষিকী উদযাপন এবার তার সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে। কলকাতায় কোম্পানির শিকড়ের দিকে ফিরে তাকালে আমরা দেখব সবকিছুর শুরু হয়েছিল ১৯২২ সালে ইল্লিস অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে প্রথম সেলস এজেন্সি চালু করার মধ্যে দিয়ে। সেই সামান্য শুরুর পর্ব থেকে এখন বশের রয়েছে ১৬টি ম্যানুফ্যাকচারিং সাইট, এবং ৭টি ডেভেলপমেন্ট ও অ্যাপ্লিকেশন কেন্দ্র যেখানে কর্মরত অ্যাসোসিয়েটদের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার ৫০ জন। এবং বশ সেই ১৯৫৩ সাল থেকেই ‘মেকিং ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে সৌমিত্র ভট্টাচার্য, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বশ লিমিটেড এবং প্রেসিডেন্ট, বশ গ্রুপ ইন ইন্ডিয়া বলেন, ‘ ভারতে বশ-এর’ সাফল্যের আসল কারণ হল সংস্থার মূল্যবোধ এবং লক্ষ্য। যে কোনও কর্পোরেট সংস্থার পক্ষে একটা দেশে শতবর্ষ পেরোনোর মতো মাইলফলক স্পর্শ করাটা খুবই বিরল ঘটনা। আমাদের মৌলিক গুণ হল ‘সবাইকে নিয়ে চলা’ এবং ‘আমাদের উদ্দেশ্য’। এই গুণাবলি বহন করে নিয়ে চলেই আমরা পর্বান্তর ও রূপান্তরের যাত্রাপথ উদযাপন করেছি। আজ কলকাতায় ‘আমাদের শিকড়ে ফিরে চলো’ কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই এই স্মরণীয় বছরটি শেষ হচ্ছে। ভারতে যে আমরা আমাদের



 অস্তিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাই এই অনুষ্ঠান সেই অঙ্গীকারেরও প্রমাণ।’এবছরের গোড়ার দিকে বশ ইন্ডিয়া উদ্বোধন করেছে তাদের ৭৬ একরের Spark.NXT ক্যাম্পাস। এখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। এখানে ইনহাউজে বিকশিত করে তোলা হয়েছে ঝকঝকে ও টেকসই সমাধান সূত্র এবং সেই ‘উদ্ভাবন চিরকালীন’ এবং সরকারের যে আন্তনির্ভর ভারত গড়ার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। ভারতের প্রতি অঙ্গীকারের বিষয়ে সত্যনিষ্ঠ থেকে গত ১০ বছরে এদেশে বশ বিনিয়োগ করেছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এবং ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে আরও ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায় উন্নত অটোমোটিভ প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল মবিলিটি সলিউশন গড়ে তোলার জন্য। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এবং উপভোক্তা নির্দিষ্ট পণ্য ও সমাধান সূত্র থাকার কারণে ভারতের মবিলিটি এবং ‘বিয়ন্ড মবিলিটি’ ক্ষেত্রের চেহারা বদলে দেওয়ার কাজে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে বশ। এছাড়াও, বশ গ্রুপের কেন্দ্রীয় কর্তব্যের সংজ্ঞা হল স্থায়িত্ব। ভারতে বশ লিমিটেড হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানির অন্যতম যারা ২০২০ সালে স্কোপস ১ ও স্কোপস ২ এ কার্বন নিউট্রাল বা কার্বন নিরপেক্ষ হয়ে উঠতে পেরেছে। সম্প্রতি ফিউচারএসকেপ-এর রেসপনসিবল বিজনেস রাঙ্কিংএর নবম সংস্করণে ১০০টি কোম্পানির মধ্যে চতুর্দশ স্থান অধিকার করেছে বশ। এই কোম্পানিগুলি আজকের দুনিয়ার চ্যালেঞ্জসমূহের মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হচ্ছে। শতবার্ষিকী পালনকে স্মরণীয় করে রাখতে বশ ইন্ডিয়া শপথ নিয়েছে মার্চ ২০২৩ সালের মধ্যে তারা ১ লক্ষ চারা রোপণের কাজ সম্পূর্ণ করবে। পূর্ণ সম্ভাবনাকে বিকশিত করে তোলার লক্ষ্যে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন: BRIDGE (বশজ রেসপন্স টু ইন্ডিয়াজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ থ্রু এলপ্লয়বিলিটি অ্যান্ড এনহানসমেন্ট) হল বশ-এর পথ প্রদর্শনকারী সিএসআর কর্মসূচি যা দক্ষ কর্মীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এটা করা হয় ভারত জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৭৫০টি BRIDGE কেন্দ্রের মাধ্যমে। BRIDGE ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৫০ হাজারের বেশি যুবককে ৩ মাসের স্বল্পকালীন কর্মসূচির মাধ্যমে। এই কর্মসূচি বিশেষ স্বীকৃতিও পেয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ফিকি সিএসআর অ্যাওয়ার্ড এবং এনএইচআরডি বেস্ট প্র্যাকটিশ অ্যাওয়ার্ড। পূর্ণ সম্ভাবনাকে বিকশিত করে তোলার লক্ষ্যে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন: BRIDGE (বশজ রেসপন্স টু ইন্ডিয়াজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ থ্রু এলপ্লয়বিলিটি অ্যান্ড এনহানসমেন্ট) হল বশ-এর পথ প্রদর্শনকারী সিএসআর কর্মসূচি যা দক্ষ কর্মীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এটা করা হয় ভারত জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৭৫০টি BRIDGE কেন্দ্রের মাধ্যমে। BRIDGE ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৫০ হাজারের বেশি যুবককে ৩ মাসের স্বল্পকালীন কর্মসূচির মাধ্যমে। এই কর্মসূচি বিশেষ স্বীকৃতিও পেয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ফিকি সিএসআর অ্যাওয়ার্ড এবং এনএইচআরডি বেস্ট প্র্যাকটিশ অ্যাওয়ার্ড। ভাস্কর ভাট, লিড ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর বশ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং বশ লিমিটেডের সিএসআর কমিটির চেয়ারম্যান BRIDGE কর্মসূচির ১০ বছর পূর্ণ হওয়া সম্পর্কে বলেন, ' প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলতে পারলেই তারা দেশের ভবিষ্যৎকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশ গঠনে কোনো সংস্থার সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব সেখানেই। বশ তার অঙ্গীকারের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছে। এর প্রমাণ মিলবে গত এক দশক ধরে ভারতের ভৌগোলিক এলাকার বাইরেও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগের মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের কাজে বশ–এর ধারাবাহিক প্রয়াসে। ' এক নজরে বিয়ন্ড মবিলিটি ক্ষেত্রে বশ–এর পারফকরমেন্স: ভারতে বশ হল প্রযুক্তি ও পরিষেবার প্রথম সারির সরবরাহকারী। এখানে বশ তাদের বিয়ন্ড মবিলিটির ব্যবসা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়িয়ে নিয়েছে ভবিষ্যত সম্ভাবনায় পূর্ণ ডিজিটাল সলিউশনস–এর মাধ্যমে,যা গড়ে উঠেছে পরিকাঠামো এবং গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে। বিয়ন্ড মবিলিটি ক্ষেত্রটি বিভিন্ন সেক্টরকে সাহায্য করেছে ধীশক্তিসম্পন্ন এবং সংযুক্ত ভবিষ্যতের দিকে একলাফে অনেকটা এগিয়ে যেতে। মাল্টি ব্র্যান্ড ওয়ার্কশপের জন্য ভবিষ্যতের উপযোগী সর্বাধুনিক ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্র গড়ে তো‌লা: বশ অটোমোটিভ আফটার মার্কেট বিভাগ এখন চাইছে তাদের মাল্টি ব্র্যান্ড গাড়ি পরিষেবা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০০ এর বেশি সংখ্যায় পৌঁছে দিতে। এই বিভাগ চাইছে ২০২৭ সালের মধ্যে আনুমানিক ৪০০০ আউটলেটের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে যার মধ্যে থাকবে ডিজেল ও বৈদ্যুত্যিক যন্ত্রাংশ সারানোর পরিষেবা কেন্দ্রের ইউনিট এবং বাজারের চাহিদার অনুসারী ২ চাকার যানের পরিষেবার ধারণাও। এভাবে বশ সার্ভিস ওয়ার্কশপগুলিকে করে তোলা হবে সবচেয়ে সহজে ব্যবহার করা যায় এবং সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য অটোমোটিভ সারাই ও মেনটেন্যান্স আউটলেট হিসাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কর্ডলেস ‘‌পাওয়ার’‌ টুলস‌–এর সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করা: শক্তিসম্পন্ন ও কার্যকর নানা ধরেনর পাওয়ার টুলসের সাহায্যে গত ২৭ বছর ধরে আধুনিক ভারত নির্মাণে সাহায্য করে এসেছে বশ। ক্রেতাদের সুবিধার প্রয়োজনের দিকে নজর রেখে কর্ডলেস ক্ষেত্রের লক্ষ্য হবে ২০২৩ সালের মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ দ্বিগুণ করা। আরেকটি লক্ষ্যণীয় প্রবণতা হল, ক্রেতারা এখন অনেক বেশি পরিমাণে অনলাইনে পাওয়ার টুলস কিনতে চাইছেন। এই প্রবণতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পাওয়ার টুলস বিভাগ তাদের ই কমার্স ব্যবসায় ১৬৪ জন খুচরো বিক্রেতাকে যুক্ত করেছে এবং তার ফলে ডিভিশনের সরাসরি (‌ডিরেক্ট)‌ বিক্রেতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬০০। এছাড়াও পরিকল্পনায় রয়েছে আরও এমন অনেক প্রোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসা যা ২০২৩ সালের মধ্যে এই ডিভিশনের ব্যবসার স্থানীয়করণ ৩০ শতাংশে পৌঁছে দেবে। ভবিষ্যতের–উপযোগী চূড়ান্তভাবে টেকসই ফ্যাক্টরির অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করা: ভারতে সফল ব্যবসার ৪৮ বছর পূর্ণ করেছে বশ রেক্সরথ। এখন এই সংস্থা ক্রেতাদের কার্যকর চাহিদা ভিত্তিক ‘‌নাও, নেক্সট অ্যান্ড বিয়ন্ড‌’‌ জাতীয় পণ্য ও সমাধান সূত্র বিপণনের দিকে নজর দিতে চাইছে। এই ধরনের পণ্য ও সমাধান সূত্র যোগান দেওয়ার ব্যবসায়ে এক দশক পূর্ণ করার দিকে এগিয়ে চলেছে বশ রেক্সরথ। হাইড্রোলিকস–এ পথ প্রদর্শনকারী সংস্থা হল বশ রেক্সরথ। অত্যধিক ক্ষমতাসম্পন্ন IoT দক্ষতার ভিত্তিতে বশ রেক্সরথ এগিয়ে চলেছে ‘‌দ্য ফ্যাক্টরি অফ দ্য ফিউচার’‌–এর দিকে এবং একইসঙ্গে নজর দিচ্ছে মেশিন ও প্ল্যান্টের স্থানীয়করণ, ডিজিটাইজেশন এবং স্থায়িত্বের দিকে। এবং নজর দিচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত সেরা মানের প্রোডাক্ট ও সমাধান সূত্র যোগানের কাজে। ভারতের প্রতি অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করা হবে: ভারতের জন্য মেড ইন ইন্ডিয়া: লন্ড্রি (‌ওয়াশিং মেশিন)‌ এবং কুলিং (‌রেফ্রিজারেশন)‌ সংক্রান্ত প্রোডাক্টে উপভোক্তাদের প্রিয় ব্র্যান্ডের ওপর ভিত্তি করে বিএইচএস সম্প্রতি ঘোষণা করেছে বশ টেবলটপ কুকটপ চালু করার কথা। ফ্রি–স্ট্যান্ডিং কুকিং অ্যাপ্লায়েন্সেস একটি ব্যাপক মাত্রায় প্রিমিয়াম সেগমেন্ট। সেই সেগমেন্টে এবার ব্যবসা শুরু করছে বিএইচএস তাদের টেবলটপ কুকটপ বাজারে আনার মধ্যে দিয়ে। গত কয়েক বছরে ভারতে তাদের ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়েছে বিএইচএস এবং এখন তাদের লক্ষ্য হল ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যবসায় ৭৫ শতাংশ স্থানীয়করণ। এই সংস্থা জোর দিয়েছে তাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে যাতে তাদের প্রোডাক্টগুলি ভারতীয় উপভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয় এবং এটা করা হবে ‘‌মেড ইন ইন্ডিয়া’‌ স্কিমে আরও অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে। পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতার ত্বরান্বিত করা: নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুবই উত্তেজনা সৃষ্টিকারী এবং গতিশীল বাজারের আবহে ব্যবসা করছে বশ। একই সঙ্গে এই সংস্থা চালু করছে স্থানীয়দের জন্য স্থানীয় প্রোডাক্ট এবং এর পাশাপাশি ভারতের বাজারে নিয়ে আসছে বিশ্বমানের পণ্য। বশের বিল্ডিং টেকনোলজিস বিভাগ কমার্শিয়াল ও হেলথকেয়ার সেক্টরের জন্য তাদের সমাধান সূত্রের পোর্টফোলিওগুলিকে আরও বাড়িয়ে চলেছে এবং একইসঙ্গে ব্যবসা বাড়াচ্ছে পরিবহণ ক্ষেত্রেও। এগুলো করা হচ্ছে নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং যোগাযোগ সংক্রান্ত ব্যবসায় সুসংহত সমাধান সূত্র যুগিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। সফটঅয়্যার ও হার্ডঅয়্যার সেক্টরে অবাধে আরও বেশি শক্তি জোগানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল সহযোগিতা: বশ গ্লোবাল সলিউশনস টেকনোলজিস (‌বিজিএসডব্লিউ)‌ স্থাপিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। জার্মানির বাইরে এটাই হল বশ–এর সর্ববৃহৎ সফটঅয়্যার ও টেকনোলজি কেন্দ্র। এই সংস্থা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের শক্তিশালী উৎস। কোম্পানির আর অ্যাড ডি নেটওয়ার্কে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা র‌য়েছে। বিজিএসডব্লিউর সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুতে এবং এই বছরে কোয়েমবাটোর, পুনে ও হায়দরাবাদের কেন্দ্রে নিজেদের উদ্ভাবনের স্থায়ী ছাপ ফেলেছে এই সংস্থা। মবিলিটি, ম্যানুফ্যাকচারিং, এবং কনজিউমার প্রোডাক্টের মতো বাজারে সবচেয়ে কঠিন কিছু সমস্যার সমাধানে সর্বাধুনিক সফটঅয়্যারকে কাজে লাগিয়েছে বিজিএসডব্লিউ। সৌমিত্র ভট্টাচার্য, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বশ লিমিটেড এবং প্রেসিডেন্ট বশ গ্রুপ অফ ইন্ডিয়া বলেন, ‘‌আমাদের লক্ষ্য হল সারা জীবনের জন্য উদ্ভাবন করা এবং এর প্রতি আমরা বিশ্বস্ত থাকতে চাই। আমরা এমন সব উদ্ভাবনের জন্ম দিই যা উৎসাহকে একেবারে তুঙ্গে পৌঁছে দেয় এবং আমাদের ক্রেতাদের দেয় সেরা সমাধান সূত্র। আমাদের দেশে মবিলিটির নতুন যুগকে গড়ে তোলার কাজে নেতৃত্বদায়ী ভূমিকা নেয় বশ ইন্ডিয়া। তবে আমাদের দক্ষতা ও নৈপুণ্য মবিলিটি সেক্টরকে ছাপিয়ে পৌঁছে যায় বিয়ন্ড মবিলিট ক্ষেত্রে। ‌উদ্ভাবনের শক্তিতে পরিচালিত স্থানীয়কৃত ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড সৃষ্টি করেছে বশ। এটা আমাদের করে তুলেছে প্রকৃত অর্থেই মেড ইন ইন্ডিয়া। বশ ইন্ডিয়া পরিবারের দৃষ্টি ভবিষ্যতের দিকেও প্রসারিত এবং আমরা স্থায়ী ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাব।’‌

No comments:

Post a Comment