মানবতার জয় জয়কার করে দেবী দুর্গা আসছেন ‘কাঠপুতুলে জীবন’ এ - Songoti

মানবতার জয় জয়কার করে দেবী দুর্গা আসছেন ‘কাঠপুতুলে জীবন’ এ

Share This

বার্তা প্রতিবেদন, কলকাতাঃ কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপ স্টেশনের অদূরে নতুনগ্রাম। কাঠের তৈরি রংবেরঙের পুতুল তৈরিতে এই গ্রাম বিশ্বখ্যাত। পঞ্চাশটি পরিবারের বাস এখানে। ১৯৬৬ সালে কাঠের পুতুল তৈরির জন্য ‘রাষ্ট্রপতি পুরস্কার’ প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে সকলের কাছে পরিচিতি পায় নতুনগ্রাম। প্রত্যেকেই দিনযাপন করেন স্রেফ কাঠের পুতুল গড়ে। দিন কাটছিল ভালই। কিন্তু গত বছর থেকে তাল গেল কেটে। মহামারী করোনা ভাইরাসের আছড়ে পড়ল গোটা বিশ্বে। তার দাপটে ছেদ পড়ল রোজকার কাজ, রুটিরুজিতে ফলত দৈনন্দিন জীবন গেল থমকে। 

তার মধ্যেই আসছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই দুর্গাপুজোর ক’টা দিন বর্ধমানের এই নতুনগ্রামের হদিশ ইস্ট বেলেঘাটা জনকল্যাণ সংঘ। ৭৮ তম বর্ষে ইস্ট বেলেঘাটা জনকল্যাণ সংঘে এবার তৈরি হচ্ছে নতুনগ্রাম। এখানে ওখানে ছড়িয়ে থাকবে গ্রামেরই অংশ। সেইসঙ্গে শিল্পীদের ব্যস্ততা। ‘কাঠপুতুলে জীবন’ থিম নিয়ে এবছর দেবীবরণে প্রস্তুত হচ্ছে কলকাতার এই ক্লাব। গ্রামের রোজনামচায় আবার ফিরে দেখা হবে শিল্পের রং, রোজকার ব্যস্ততা। কাঠের পুতুলে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেই আরাধনা করবেন ক্লাবের সদস্যরা। 

এহেন থিম ভাবনার নেপথ্যে যিনি রয়েছেন, তাঁর নাম সমর সাহা। তিনিই জানালেন, পুতুলশিল্পীদের ভাঁটা পড়া জীবনে কিছুটা জোয়ার আসবে। শুধু তাই নয়, এবার পুজোর অনুদান হিসেবে প্রতিটি ক্লাবকে মুখ্যমন্ত্রী যে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছেন, সেই টাকাও নতুনগ্রামের ৫০টি শিল্পী পরিবারের মধ্যে ভাগ করে দেবে ইস্ট বেলেঘাটা জনকল্যাণ সংঘ। আর এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই তাদের বার্তা, ‘শিল্প এবং শিল্পীসত্তা যাতে বেঁচে থাকে তাই এ বছর আমাদের এই সিদ্ধান্ত, পুজো হোক মানবতার’।

No comments:

Post a Comment