‘সোশাল এন্টারপ্রেনার অফ দি ইয়ার অ্যাওয়ার্ড - ইন্ডিয়া ২০২০’ পুরষ্কার পেলেন প্রবাহ অ্যান্ড কমিউনিটি ইউথ কালেক্টিভ-এর আশরাফ পটেল - Songoti

‘সোশাল এন্টারপ্রেনার অফ দি ইয়ার অ্যাওয়ার্ড - ইন্ডিয়া ২০২০’ পুরষ্কার পেলেন প্রবাহ অ্যান্ড কমিউনিটি ইউথ কালেক্টিভ-এর আশরাফ পটেল

Share This

 ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম এবং জুবিল্যান্ট ভারতিয়া গ্রুপ-এর জুবিল্যান্ট ভারতিয়া ফাউন্ডেশন-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান, স্কোয়াব ফাউন্ডেশন ফর সোশাল এন্টাপ্রেনারশিপ, প্রবাহ অ্যান্ড কমমিউটিনি ইউথ কালেকটিভ (CYC)-এর আশরাফ পটেলকে সোশাল এন্টারপ্রেনার অফ দি ইয়ার (SEOY) অ্যাওয়ার্ড - ইন্ডিয়া 2020এর বিজেতা হিসাবে ঘোষণা করছে৷ সমগ্র বিশ্বব্যাপী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে, একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরষ্কারটি তাঁর হাতে তুলে দেন, ভারত সরকারের মহিলা এবং শিশু বিকাশ এবং বস্ত্রশিল্প মন্ত্রকের মাননীয় মন্ত্রী, শ্রীমতি স্মৃতি ইরানি৷

বিজেতা এবং এই বছরের SEOY অ্যাওয়ার্ড ইন্ডিয়া 2020-এর চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগীদের প্রশংসা করে, ভারত সরকারের মহিলা এবং শিশু বিকাশ এবং বস্ত্রশিল্প মন্ত্রকের মাননীয় মন্ত্রী, শ্রীমতি স্মৃতি ইরানি বলেন, ‍"আমি সামাজিক উদ্যোক্তাদের বিষয়ে উদযাপনের ক্ষেত্রে স্কোয়াব ফাউন্ডেশন এবং জুবিল্যান্ট ভারতিয়া ফাউন্ডেশন-এর সহযোগের কদর করি৷ আমি সেই সকল সামাজিক উদ্যোক্তাদের শুভেচ্ছা জানাই যাঁদের এই মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারটির জন্য শ্রদ্ধেয় বিচারকদের দ্বারা বিবেচিত হয়েছিলেন৷ এই পুরষ্কারটি আজ আমাদের সমগ্র দেশের সামনে উজ্জ্বলভাবে দৃষ্টিগোচর করে যে সহানুভূতি শুধুমাত্র স্নেহ সঞ্চারকারীই নয়, এটি সমভাবে একটি ব্যবসায়িক দক্ষতাও বটে৷ যাঁরা এই মঞ্চটিতে উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা হলেন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার চ্যাম্পিয়ান৷‍"

SEOY অ্যাওয়ার্ড ইন্ডিয়া 2020-এর বিজেতা - আশরাফ পটেল, ভারতের একটি সহমর্মী, সংবেদনশীল পরিবর্তনকারী যুব প্রজন্মের মাধ্যমে যুগান্তকারী পরিবর্তনের বিকাশের আবাহন করে আসছেন৷ তারা এটিকরছে মনস্তাত্ত্বিক-সামাজিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এবং তাদের আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিচিতি এবং সমাজগুলিকে গড়তে তুলতে সাহায্য করছে৷

ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি এবং স্কোয়াব ফাউন্ডেশন ফর সোশাল এন্টারপ্রেনারশিপ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, প্রোফেসর ক্লস স্কোয়াব, SEOY অ্যাওয়ার্ড ইন্ডিয়া 2020-এর বিজেতা ঘোষণা করেন এবং বলেন, ‍"ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অতি মাত্রায় বিজড়িত রয়েছে৷ আমি, আমাদের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে ভারতের অতিশয় অধিক প্রতিনিধিত্বের জন্য আশা করি কারণ ভারত হল ভবিষ্যৎ গঠন করার লক্ষ্যে একটি প্রধান শক্তি এবং তাদের সুপ্রকাশিতভাবে সংশ্লিষ্ট থাকতে হবে৷‍"

SEOY অ্যাওয়ার্ড ইন্ডিয়া 2020-এর বিজেতা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগীদের প্রশংসা করে, স্কোয়াব ফাউন্ডেশন ফর সোশাল এন্টারপ্রেনারশিপ-এর সভাপতী এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা, শ্রীমতি হিলডে স্কোয়াব বলেন, ‍"সোশাল এন্টারপ্রেনাস অফ দি ইয়ার ইন্ডিয়া পুরষ্কারের এই বছরের বিজেতা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগীরা সকলেই আমাদের সম্প্রদায় কী নিয়ে তার নমুনা তুলে ধরেন - সেই অভিনেতারা যাঁরা, তাঁদের পারিপার্শ্বের বিশ্বের অবস্থার উন্নতির উদ্দেশ্যে, নিঃস্বার্থভাবে তাঁদের জীবনকে নিবেদন করেছেন৷ সামাজিক উদ্ভাবকেরা হলেন, আমাদের সংস্থাগুলির কর্ম পদ্ধতিকে পুনরাবিষ্কার করে পথপ্রদর্শনকারী প্রতিনিধিরা, এবং 2030 সালের মধ্যে ধারণযোগ্য বিকাশ লক্ষ্যগুলি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ বর্তমান বিশ্বভিত্তিক অতিমারী, আশু প্রয়োজনীয়তাগুলিকে সনাক্ত করার এবং ভূমিস্তরের বাস্তবিকতার প্রতি প্রতিক্রিয়া সঞ্চালনের ক্ষেত্রে সামাজিক উদ্ভাবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে দৃষ্টিগোচর করেছে৷ স্কোয়াব ফাউন্ডেশন ফর সোশাল এন্টাপ্রেনারশিপ, ভারত থেকে আগত সামাজিক উদ্ভাবকদের যাঁরা শুধুমাত্র যে পরিবর্তনকে চালিত করছেন তা নয়, তাঁরা প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলিকে একটি আরও বেশি ন্যায়সংগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ধারণযোগ্য ভবিষ্যতের প্রতি স্থানান্তরিতও করছেন,পুরস্কৃত করার ক্ষেত্রে জুবিল্যান্ট ভারতিয়া ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে বিগত 11 বছর যাবত অংশীদারিত্বের জন্য গর্বিত৷‍"

বিজেতা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগীদের সাধুবাদ জানিয়ে, সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্যাম এস ভারতিয়া এবং জুবিল্যান্ট ভারতিয়া গ্রুপ-এর সভাপতি এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং জুবিল্যান্ট ভারতিয়া গ্রুপ এবং জুবিল্যান্ট ভারতিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নির্দেশক, শ্রী হরি এস ভারতিয়া, বলেন, ‍"বিগত এগারো বছর যাবত, আমরা দেশের দূরতম অঞ্চলগুলির থেকে আবেদনগুলির একটি মধ্যে একটি বৈচিত্র্য লক্ষ্য করেছি৷ পুরষ্কারের প্রক্রিয়াটি এখনও পর্যন্ত 1600-এর অধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ আবেদনের বিবেচনা করেছে৷ এই বছর, অতিমারীর মত কঠিন সময়েও, আমরা, এক-তৃতীয়াংশ মহিলা সামাজিক-উদ্ভাবক আবেদনকারী সহ 100টির অধিক আবেদন পেয়েছি৷ উৎসাহপূর্ণ অংশগ্রহণ এই কঠিন পরিস্থিতিগুলির মধ্যেও সামাজিক ক্ষেত্রটির প্রাণোচ্ছলতা এবং অধ্যবসায়ের প্রতিফলন ঘটায়৷ এটি দেখা হৃদয়গ্রাহী যে এই বছরের প্রতিযোগীরা তাঁদের উদ্ভাবনামূলক চিন্তাধারা এবং দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্যে তাঁদের নিজেদের ক্ষেত্রগুলির অসংহতিকে অতিক্রম করেছেন৷ তাঁরা, স্বাস্থ্য প্রযত্ন, যুব বিকাশ এবং কঠিন বর্জ্য পরিচালনের ক্ষেত্রগুলিতে পথ-প্রদর্শকের কাজ করেছেন এবং তাদের অসাধারণ প্রচেষ্টাগুলির জন্য বিজেতা এবং প্রতিযোগীদের প্রতি কুর্নিশ৷ এই উদ্দেশ্যটির প্রতি তাঁদের দায়পরায়ণতা অতুলনীয়৷‍"

SEOY অ্যাওয়ার্ড - ইন্ডিয়া 2020 পাওয়ার পর আশরাফ পটেল বলেন, ‍"যুব নেতৃত্বের এই স্বীকৃতি এসেছে এমন একটি সময়ে যখন এটির সর্বাধিক প্রয়োজনীয়তা ছিল, ঠিক এই সময়ে বিশ্ব জর্জরিত হয়ে রয়েছে অসাম্য, বিবাদ এবং পরিবেশভিত্তিক সমস্যাগুলির দ্বারা৷ আগে কখনও একটি আরও সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করার জন্য আমাদের আরও বেশি সহযোগিতা এবং যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে নেতৃত্ব ভাগাভাগি করার প্রয়োজন হয়নি৷‍"

আশরাফ পটেল, সারা বিশ্বের সামাজিক উদ্ভাবকদের পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ এবং মর্যাদাপূর্ণ মঞ্চ স্কোয়াব ফাউন্ডেশন ফর সোশাল এন্টারপ্রেনাশিপ কমিউনিটিতে যোগদান করবেন৷ বিজেতা ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম (WEF)-এর বাৎসরিক এবং আঞ্চলিক আলোচনাগুলিতেও অংশগ্রহণ করবেন, যেটি জনসাধারণ, ব্যবসায়ী মহল, সংবাদ মাধ্যম, শিক্ষা এবং অসামরিক সমাজ ক্ষেত্রগুলির থেকে আগত বিশ্বভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সঙ্গে বিজড়িত হওয়ার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে৷ চূড়ান্ত পর্যায়ের অন্যান্য প্রতিযোগীরা ছিলেন কলকাতার IKure-এর সুজয় সাঁতরা এবং আমেদাবাদের NEPRA-এর সন্দীপ পটেল৷

তাদের 11শ তম বছরটিকেউদযাপন করার সাথে, SEOY অ্যাওয়ার্ড ইন্ডিয়া নিজেকে ভারতের সামাজিক উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বাধিক পরিচিত এবং সম্মানীয় পুরষ্কারগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করছে৷ পুরষ্কারটি সেই উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি প্রদান করে যাঁরা ভারতের সামাজিক সমস্যাগুলির সমাধানের লক্ষ্যে উদ্ভাবনামূলক, ধারণযোগ্য এবং পরিমাপযোগ্য সমাধানগুলি বাস্তবায়িত করেন৷ 2010 এ স্কোয়াব ফাউন্ডেশন ফর সোশাল এন্টাপ্রেনারশিপ এবং জুবিল্যান্ট ভারতিয়া ফাউন্ডেশন, একত্রিত হয়েছিল সোশাল এন্টারপ্রেনার অফ দি ইয়ার (SEOY) ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড-এর মাধ্যমে ভারতে সামাজিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে৷

SEOY অ্যাওয়ার্ড - ইন্ডিয়া 2020 তে, এই বছর পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি, সংবাদ মাধ্যমভিত্তিক যোগাযোগ, যুব বিকাশ, অক্ষমতা, শক্তি, উদ্যোগ বিকাশ, শ্রমজীবীদের অবস্থা, মাইক্রোফাইনান্স, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি, ধারণযোগ্য কৃষি এবং জল এবং স্বাস্থ্যবিধির মত একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ  ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করে 23টি শহর থেকে আবেদনপত্র প্রাপ্ত করেছিল৷

এই বছরের পুরষ্কারটির জন্য বিচারকমন্ডলীতে ছিলেন, এইটি মিডিয়া লিমিটেড-এর চেয়ারপার্সন এবং এডিটোরিয়াল ডিরেক্টর, শোভনা ভারতিয়া, স্কোয়াব ফাউন্ডেশন ফর সোশাল এন্টারপ্রেনারশিপ-এর চেয়ারপার্সন এবং কো-ফাউন্ডার, হিলডে স্কোয়াব, জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্সেস লিমিটেড-এর বোর্ড মেম্বার এবং ভারত সরকারের যোজনা কমিশনের পূর্বতন সচিব, সুধা পিল্লাই, CII-এর প্রেসিডেন্ট এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক-এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর, উদয় কোটাক, সেন্টার ফর সোশাল অ্যান্ড ইকনমিক প্রগ্রেস-এর প্রেসিডেন্ট এবং বিশিষ্ট সদস্য, রাকেশ মোহন, অর্ঘ্যম ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারপার্সনরোহিনী নিলেকানি, স্ট্যানফোর্ড সিড, ইন্ডিয়া-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর পি আর গণপতি, এবং 2019-এর SEOY বিজেতা, এনএবল ইন্ডিয়া-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা দিপেশ সুতারিয়া

No comments:

Post a Comment