ধারা ৩৭০ -এর কাহিনী নিয়ে রাকেশ সাওয়ান্তের মুদ্দা৩৭০ - Songoti

ধারা ৩৭০ -এর কাহিনী নিয়ে রাকেশ সাওয়ান্তের মুদ্দা৩৭০

Share This
বার্তা প্রতিবেদন, কলকাতাঃ রাশিয়ায় বিপ্লবের পর সোভিয়েত নায়ক ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন সেখানকার বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আইজেনস্টাইনকে বলেছিলেন, দেশের স্বাধীন জনগণকে দেশের ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব নিতে হবে সিনেমা দিয়ে। সিনেমাশিল্প দিয়ে জাতি গঠনের কথা লেনিন বলেছিলেন এই কারণে যে তিনি বুঝে ছিলেন সিনেমা একটি শক্তিশালী মাধ্যম। দেরিতে হলেও এদেশে সাহিত্য, কল্পনা ছেড়ে ঐতিহাসিক বিষয় ও রাজনৈতিক বিষয় ভারতীয় সিনেমায় স্থান পেয়েছে। কখনো জনপ্রিয়তা এসেছে ,কখনো ব্যর্থতা। সত্যি বলতে কি বাস্তব রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রভাব রয়েছে এমন ছবি রাষ্ট্রের নিয়োজিত সেন্সর বোর্ডের সহমত ছাড়া মুক্তি পেতে পারে না। ভারত-চীন যুদ্ধের পর  হকিকত ছবি তৈরি হয়েছে জাতীয়তাবাদ শ্লোগান দিয়ে। পরবর্তী সময়ে ভারত -পাক যুদ্ধে ভারতের পরাক্রম নিয়ে বহু বলিউড ছবি দর্শক সমাদর পেয়েছে। 


সাম্প্রতিক সার্জিকাল স্ট্রাইক ও কাশ্মীরে ৩৭০ধারা বাতিল নিয়ে ছবি তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে। কাশ্মীরও ৩৭০ধারা নিয়ে মুম্বাইয়ে নাম সংরক্ষণে লম্বা লাইন পড়েছে। এমনই এক ছবি মুদ্দা ৩৭০। ইতিমধ্যেই দেশে যা মুক্তি পেয়েছে, কলকাতাসহ বাংলায় মুক্তি পেতে চলেছে। মধ্য কলকাতার রাজ্য যুব কেন্দ্রের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হলো ছবির ট্রেলর। ট্রেলর দেখে মনে হলো, হিন্দু নায়ক আর মুসলমান নায়িকাকে নিয়ে কাশ্মীর সমস্যাকে প্রেক্ষাপট করে ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে। ছবির পরিচালক লাস্যময়ী রাখি সাওয়ান্তের ভাই রাকেশ সাওয়ান্ত। মূল দুই চরিত্রে হিতেন তেজওনি এবং অঞ্জলি পান্ডে। সহযোগী শিল্পী জারিনা ওয়াহাব, সুজাতা মেহেতা, মোহন কাপুর, মনোজ জোশি ও আইটেম সঙ এ স্বয়ং রাখি সাওয়ান্ত। সাংবাদিক সম্মেলনে যদিও অন্যরা হাজির থাকলেও রাখি ছিলেন না। ট্রেলর এটুকু দেখে আন্দাজ করা গেলো যে কাশ্মীর সমস্যা বা ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে কোনো যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ আশা করাটা অন্যায় হবে। ছবিতে মিলবে নায়ক নায়িকার অদম্য প্রেম, যৌন মাদকতাপূর্ণ রাখির উদ্দাম নৃত্য। আর আছে শত্রু দেশের অমানবিক অত্যাচারের ছবি, এবং সেখানকার মানুষদের গদগদ জাতীয়তাবাদী ভারত প্রেম। এখন দেখবার, বাংলায় এই ছবি বক্স অফিসে সাড়া ফেলে কিনা।

No comments:

Post a Comment