
চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষ আজকাল অনেকটাই সচেতন। রাসায়নিক উপাদানযুক্ত প্রসাধনী, তাপভিত্তিক ‘স্টাইলিং’ যন্ত্র ইত্যাদির ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে অনেকেই অবগত। তবে খুব সাধারণ কিছু অভ্যাসও চুলের ক্ষতি করছে।
গরম জল দিয়ে গোসল: শীতকালে গরম জল ছাড়া গোসল করার কথা কল্পনা করলেও যেন শীত লাগে। তবে গোসলে গরম পানির ব্যবহার চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এই গরম পানি চুল থেকে অনেকটা প্রাকৃতিক তেল ও পুষ্টি উপাদান ধুয়ে ফেলে। তাই শ্যাম্পু করার সময় যতটা সম্ভব কম গরম জল ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। আর কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলতে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। এতে চুলের ‘কিউটিকল’ বন্ধ হবে এবং উশকোখুশকোভাব কমবে।
তোয়ালে বা গামছা: অনেকেই শরীর ও চুল মুছতে একই তোয়ালে ব্যবহার করেন এবং চুল মোছার সময় কড়া হাতে ঘষা দেন। এতে চুলের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়, ভেঙে যায় এবং চুল রুক্ষ হয়। সাধারণ ‘টেরি’ কাপড়ের তোয়ালে চুলের জন্য রুক্ষ এবং চুলে বেশ বাজে ধরনের ঘর্ষণ সৃষ্ট আঘাত বয়ে আনে। ‘মাইক্রোফাইবার’ কাপড়ের তোয়ালে সেই তুলনায় বেশ উপকারী। না থাকলে সুতির ‘টি-শার্ট’ ব্যবহার করতে পারেন চুল মোছার কাজে।
অতিরিক্ত ‘ড্রাই শ্যাম্পু’: লম্বা চুল যাদের তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীর তালিকায় ‘ড্রাই শ্যাম্পু’ থাকতেই পারে। চুল পরিষ্কারের ঝামেলা কমাতে এরচাইতে আদর্শ পণ্য কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে এই প্রসাধনীর অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর। ঘন ঘন ‘ড্রাই শ্যাম্পু’ ব্যবহার করলে তা চুলে জমতে থাকে, মাথার ত্বকের লোমকূপ আটকে দিতে থাকে এবং চুলকে বঞ্চিত করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে।
চিরুনি কিংবা ব্রাশের ভুল ব্যবহার: চুলের চিরুনি কিংবা ব্রাশ চালানোর সময় জট খুলতে অনেকে চাপ প্রয়োগ করা হয়, ফলে চুল ছিঁড়ে যায়, ভেঙে যায়। আগাগোড়া চিরুনি না চালিয়ে চুলের নির্দষ্ট অংশে আলতোভাবে চিরুনি চালানো উচিত এবং জট খোলার সময় ধৈর্য্য রাখা উচিত। যারা ব্রাশ ব্যবহার করেন তাদের উচিত হবে নরম দাঁতের ব্রাশ ব্যবহার করা। চুলের ব্যান্ড যাতে অতিরিক্ত আঁটসাঁট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বালিশের কভার: বালিশের কভারের কাপড়টিও চুলের ওপর প্রভাব ফেলে। সাধারণ সুতি কাপড়ের বালিশের কভার প্রচুর ঘর্ষণজনীত আঘাত সৃষ্টি করে, ফলে চুল রুক্ষ হয়, জট বাঁধে, ভেঙে যায়। এমনকি চুলপড়ার পরিমাণও বাড়ে। সিল্কের বালিশের কভার এক্ষেত্রে আদর্শ। এটি নরম ও মসৃণ। আর এতে চুল আটকায় না।
No comments:
Post a Comment