বাংলাদেশ বইমেলা মোহরকুঞ্জে - Songoti

বাংলাদেশ বইমেলা মোহরকুঞ্জে

Share This
নিজস্ব প্রতিবেদন,কলকাতাঃ  শহরে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলা। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই বইমেলা। ৯ বছরে পা দেওয়া এই মেলা শেষ হবে ১০ নভেম্বর। গত দুই বছরের মতো এবারের মেলাও বসেছে  রবীন্দ্রসদনের কাছে ঐতিহ্যবাহী মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে।বাংলাদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন বই নিয়ে প্রতিবছর এই বইমেলার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের বইকে কলকাতার বইপ্রেমীদের কাছে তুলে ধরা এবং দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় এই মেলা। প্রধান অতিথি হিসেবে এবারের বইমেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ‘কলকাতার সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধন 


দীর্ঘকালের। আর এই বন্ধনকে দৃঢ় করার অন্যতম বাহন বই। বই পারে দুই দেশের মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে দৃঢ় করতে। এ জন্য দুই দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলা বইয়ের বাজারকে আরও বিস্তৃত করতে হবে।’ ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিনিময়কেন্দ্রের মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘বিনিময়’ এরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশন এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সম্মিলিত উদ্যোগে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এই বইমেলায় প্রতিদিন থাকছে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, কবিতাপাঠ এবং পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তবে শনি ও রোববার মেলা চলবে ২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এবারের বইমেলায় বইপ্রেমীদের জন্য বাংলাদেশের ৮০টি সরকারি ও বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থার প্রায় ৩০ হাজার বই থাকছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ, বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌর করপোরেশনের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স ‘গিল্ড’এর সম্পাদক সুধাংশু দে, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

No comments:

Post a Comment