দূর থেকে ভেসে আসছে ঢ্যাম - কুড়া- কুড় ঢাকের বাদ্যি । ঝিঁ ঝিঁ ডাকা অন্ধকারের ভিতর থেকে শোনা যাচ্ছে দুগ্গা মাঈ কী জয় ! সুমনাও পাড়ার মেয়ে-ঝিদের সঙ্গে রঙ খেলেছে আজ । শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকেও মুখে রঙ দিয়েছে । এত আনন্দের মধ্যেও সুমনা শুনতে পাচ্ছে , একটা বিষন্নতার সুর ! একে- একে মঞ্চ থেকে প্রতিমা নামানো হয়ে গেছে । আর কিছুক্ষন পর জলে পড়বে । আবার আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে একবছর পর । সুমনার মনটা অস্থির হয়ে ওঠে । বেশ কিছুদিন ধরে অমলের সঙ্গে অশান্তি চলছিল । সেই অশান্তিটা আরো জড়ালো হয়ে উঠল মেয়েটা হওয়ার পর । অমল কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি । 'কন্যা সন্তান ' যেন অমলের কাছে একটা বড়ো বোঝা । সেই বোঝা যেন শেষ করে দিতে চায় ! সুমনা , মা দুর্গাকে বিজয়ার প্রণাম করে , এক ছুটে ঘরে আসে । এক মাসের মেয়েটা ঘুমচ্ছে । দরজাটা কোন রকমে খুলে সে বুকে করে নিয়ে অন্ধকারের ভিতর একা ছুটে চলল । এতক্ষন প্রতিমা জলে ভাসছে । মাটির গা থেকে গলে পড়ছে মাটি । তবুও মুখটা বার বার ভেসে উঠছে সুমনার । সে আজ শুনতে পাচ্ছে ভাসানের শেষ পদধ্বনি । পায়ের শব্দগুলো যেন অন্ধকারে মিশে যাচ্ছে । ফাঁকা রেল লাইনের ধারে এসে দাঁড়াল । তারপর এক ঝটকায় ঝোপের উপর নিজের কন্যাসন্তানকে ছুড়ে দিল । আর্তনাদ করে মেয়েটা কেঁদে উঠল মৃত্যুর কান্না । পিছনে না তাকিয়ে সুমনা ঘরের দিকে রহনা হল । জলভরা চোখে নিজের দুর্গাকে নিজের হাতে বিসর্জন দিল সে !
দূর থেকে ভেসে আসছে ঢ্যাম - কুড়া- কুড় ঢাকের বাদ্যি । ঝিঁ ঝিঁ ডাকা অন্ধকারের ভিতর থেকে শোনা যাচ্ছে দুগ্গা মাঈ কী জয় ! সুমনাও পাড়ার মেয়ে-ঝিদের সঙ্গে রঙ খেলেছে আজ । শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকেও মুখে রঙ দিয়েছে । এত আনন্দের মধ্যেও সুমনা শুনতে পাচ্ছে , একটা বিষন্নতার সুর ! একে- একে মঞ্চ থেকে প্রতিমা নামানো হয়ে গেছে । আর কিছুক্ষন পর জলে পড়বে । আবার আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে একবছর পর । সুমনার মনটা অস্থির হয়ে ওঠে । বেশ কিছুদিন ধরে অমলের সঙ্গে অশান্তি চলছিল । সেই অশান্তিটা আরো জড়ালো হয়ে উঠল মেয়েটা হওয়ার পর । অমল কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি । 'কন্যা সন্তান ' যেন অমলের কাছে একটা বড়ো বোঝা । সেই বোঝা যেন শেষ করে দিতে চায় ! সুমনা , মা দুর্গাকে বিজয়ার প্রণাম করে , এক ছুটে ঘরে আসে । এক মাসের মেয়েটা ঘুমচ্ছে । দরজাটা কোন রকমে খুলে সে বুকে করে নিয়ে অন্ধকারের ভিতর একা ছুটে চলল । এতক্ষন প্রতিমা জলে ভাসছে । মাটির গা থেকে গলে পড়ছে মাটি । তবুও মুখটা বার বার ভেসে উঠছে সুমনার । সে আজ শুনতে পাচ্ছে ভাসানের শেষ পদধ্বনি । পায়ের শব্দগুলো যেন অন্ধকারে মিশে যাচ্ছে । ফাঁকা রেল লাইনের ধারে এসে দাঁড়াল । তারপর এক ঝটকায় ঝোপের উপর নিজের কন্যাসন্তানকে ছুড়ে দিল । আর্তনাদ করে মেয়েটা কেঁদে উঠল মৃত্যুর কান্না । পিছনে না তাকিয়ে সুমনা ঘরের দিকে রহনা হল । জলভরা চোখে নিজের দুর্গাকে নিজের হাতে বিসর্জন দিল সে !
No comments:
Post a Comment