পরিবেশ দূষণ কমাতে ভারতীয় রেল গোটা দেশেই ইলেকট্রিক চালানোর উপরে জোর দিয়েছে। এতে রেলের খরচও বাঁচবে অনেকটা। প্রতিদিন এই রুটে অন্তত ৫০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে। ট্রেন চালাতে যে বিপুল পরিমাণ ডিজেল খরচ হয় তার তুলনায় বিদ্যুৎচালিত ট্রেনে ব্যয় অনেক কম হবে বলে দাবি রেল কর্তাদের। কলকাতা থেকে মালদা পর্যন্ত বৈদ্যুতিকরণের কাজ অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল মালদা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত বৈদ্যুতিকরণের কাজ হাতে নেয়। কাজে গতি আনতে দুটি জায়গা থেকে সমান্তরাল ভাবে কাজে নামা হয়। কাজ শুরু হয় কাটিহার থেকেও। গত বছর কাটিহার থেকে মালদা এই ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। এ বার নিউ জলপাইগুড়ির পালা। ২০২০ সালের মধ্যে কলকাতা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে দাবি করেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার। তিনি বলেন, ‘বৈদ্যুতিকরণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ২০২০ সালের মধ্যেই ওই রুটে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।’ নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল শুরু হলে এনজেপি ডিজেল লোকোশেডের পাশাপাশি ইলেকট্রিক লোকোশেডেরও প্রয়োজন হবে। সেই কাজেরও এদিন তদারকি করেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের পদস্থ কর্তা। রেলের ইঞ্জিন থেকে কামরা মেরামতি-সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখেন তিনি।
সম্প্রতি টয় ট্রেনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ভিডিয়ো ও সেলফি তোলার সময়ে পড়ে গিয়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়। রেলের তরফে ঘটনার তদন্তও হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, রেল কর্মীরা নিষেধ করা সত্বেও ওই ব্যক্তি কারও কথা শোনেননি। তবে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না-হয় সে জন্য রেলের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চলন্ত টয় ট্রেনের খোলা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কেউ ছবি তোলার চেষ্টা করলে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষকে তখনই আইনি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। কিন্তু ওই ব্যক্তি কারও নিষেধ শোনেননি।’
সূত্রঃ এইসময়
No comments:
Post a Comment