অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তা বোঝাল মেডিক্যাল কলেজ - Songoti

অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তা বোঝাল মেডিক্যাল কলেজ

Share This
দেবপ্রিয় মণ্ডল, কলকাতাঃ “অঙ্গদান জীবনদানের সমান” এসব কথা প্রায়ই শোনা যায় হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক কর্মসূচীতে। তবে সাধারণ চিত্রটা অন্যরকম বলছে রিপোর্ট। ভারতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়, ৫হাজার মানুষের দরকার পড়ে কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের। তবে পান কজন? সূত্র বলছে প্রতি বছর প্রায় ৫লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ সময়মত প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ না পাওয়া, যার মধ্যে ২লক্ষ রোগীর লিভারের প্রয়োজন থাকে এবং ৫০হাজার রোগী মারা যান হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হয়ে। কোনো মানুষের মৃত্যুর পর তাঁর অঙ্গ নিয়ে ৮জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। মৃত্যুর পর দান করা সম্ভব চোখ, যকৃত, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, কিডনি, অগ্ন্যাশয় এবং ক্ষুদ্রান্ত্র। এছাড়াও ত্বক, কর্নিয়া, হাড়ের টেন্ডন ও কার্টিলেজ, হার্ট-ভালভ ও রক্তনালীর টিস্যুও দান করা যায়। তবে বেশিরভাগ


ক্ষেত্রেই হাসপাতালে মৃত্যু না হলে অঙ্গদান সম্ভব হয় না। কোনো ব্যাক্তির ব্রেন ডেথ হলে সেক্ষেত্রে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে অঙ্গগুলিকে প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত রাখা সম্ভব। ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হওয়া কলকাতা মেডিকেল কলেজের বার্ষিক ফেস্ট এস্কুলাপিয়া তিন দিনের একটি কনভেনশনের আয়োজন করেছিল যা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য দেশব্যাপী অংশগ্রহণের ফোরাম হিসাবে কাজ করবে। এই অনুষ্ঠানে ডাক্তার এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অঙ্গদান সম্পর্কিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেডিকেল শিক্ষা ও সিনিয়র রাজ্য নোডাল অফিসার অধ্যাপক ড. মনিময় মুখোপাধ্যায়, কলকাতা মেডিকেল কলেজের কার্ডিও-থোরাসিক সার্জারি বিভাগীয় প্রধান ড. প্লাবন মুখার্জি, নেফ্রোলজি বিভাগের প্রফেসর অর্পিতা লাহিড়ী, আইপিজিএমআর, গুড়গাঁও আর্টেমিস হাসপাতালের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অ্যান্ড গাল সার্জারি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ড. রামদীপ রায়, কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনিগেলস হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার কনসালট্যান্ট ড. চন্দ্রাশিষ চক্রবর্তী, ফোর্টিস হসপিটাল কলকাতার কার্ডিয়াক অ্যানাস্থেসিয়া অ্যান্ড ক্রিটিকাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ড. সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিত্সকরা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সি কে বিড়লা হাসপাতালের ডিরেক্টর ড. অরিন্দম কর।

No comments:

Post a Comment