দেবপ্রিয় মণ্ডল, কলকাতাঃ ভারতীয় বাণিজ্য ও উদ্যোগ মহাসংঘের (FICCI) তত্ত্বাবধানে কলকাতায় রোডশো-এর আয়োজন করল ওড়িশা পর্যটন মন্ত্রক। প্রধান প্রতিনিধি রুপে অংশগ্রহণ করলেন ওড়িশার পর্যটন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রকাশ পানিগ্রাহী। সম্প্রতি ওড়িশা সরকার তাদের পর্যটন দপ্তরের সাথে আতিথেয়তা পরিষেবা যুক্ত করেছে। এবিষয়ে
বিনিয়োগকারীদের ও পড়শি রাজ্যগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক বৈঠক করছে ওড়িশা সরকার। ইতিমধ্যে মুম্বই, দিল্লি ও কোচিতে রোডশো করে মিলেছে সাফল্য। এবার নজর বাংলায়। বিভাগীয় কমিশনার তথা মুখ্যসচিব আই.এ.এস. বিশাল কুমার দেব নয়া সংযোজনগুলি পরিবেশন করেন। সংযোজনে বিশেষ আকর্ষণগুলি হল, ঐতিহ্যবাহী পর্যটন, ইকো-পর্যটন, জাতিগত পর্যটন, অ্যাডভেঞ্চারমূলক পর্যটন এবং আধ্যাত্মিক পর্যটন। উল্লেখ্য, স্পোর্টিং ডেস্টিনেশন হিসাবে ওড়িশাকে তুলে ধরতে ক্রীড়া দপ্তর ও যুব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিশাল দেবের অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে। উজ্জ্বল হয়েছে ওড়িশার ভাবমূর্তি, বেড়েছে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও। গত বছর হকি বিশ্বকাপ বা ২০১৭তে এশিয়ান অ্যাথলেটিকস্ চ্যাম্পিয়নশিপও আয়োজন করে ওড়িশা। শ্রী দেব জানান, “আগামী বছরে ফিফা অনুর্দ্ধ ১৭ মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনে সারা ভারতের নজর এখন ওড়িশার দিকে”। প্রতিবেশি রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র, শিল্পবৈচিত্রকে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করে ওড়িশার পর্যটন দপ্তর। জানান হয়, সরকারি ভাবে হাউসবোট ও ক্যারাভ্যান পর্যটনেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ২০১৮ সালে ওড়িশায় যান ১.৫কোটি পর্যটক যার ১৪শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের। আগামি দিউ বছরে এই সংখ্যাটাকে ২.৫কোটিতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে ওড়িশা পর্যটন মন্ত্রক। পুরী-কোনারকের পাশাপাশি বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ন্যাশনাল পার্ক, বৌদ্ধিক সঙ্ঘ, সোনালি ত্রিভূজের উপর। ভ্রমণ সংস্থা ও ট্রাভেল এজেন্টদের ওড়িশা পর্যটনের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পর্যটন দপ্তরের ওয়েবসাইটে যুক্ত হয়েছে একটি বিশেষ পোর্টাল। উচ্চমানের বিনিয়োগকারী থেকে মধ্যমানের বিনিয়োগকারী- সকলকেই সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ওড়িশা মন্ত্রক।
No comments:
Post a Comment