না, জঙ্গলে পুঁতে রাখা সহজ নয়। যাই হোক, এই মুহূর্তে শুনতে ইচ্ছে করছে, তোমরা যাকে বলো পশু–তার কান্না নয়, মৃত্যুচিৎকার নয়, শুনতে ইচ্ছে করছে তার গর্বহুঙ্কার। উদ্বিগ্ন নাই বা হলি হরিণী, ছুঁতে সাধ হয় তোর গর্ভকুসুম। গোপনে। যত থাকি, নিজের কানে বলতে ইচ্ছে করে: ওহে মূঢ় তোমার কোনো চন্দ্রকলা নেই।
নেই জানি। তবে আছে এক অমূল্য সম্পদ। আমি চাই সে সম্পদ পুঁতে রাখা হোক খুব ভোরে। দক্ষিণপূর্ব জঙ্গলে। কয়েকজন মাতাল বরাবর মাটি খুঁড়তে রাজি। আমি জানি নেশা কেটে গেলে লোভী হয়ে উঠবে ওরা। দাঁড়াও ব্যবস্থা করি পাহারা। আমার বিশ্বস্ত একজন পুতুল নাচায়। আরেকজন জীবনবীমাকর্মী। তৃতীয়জন কমল কুমার মজুমদারকে নিয়মিত চিঠি লিখত। এরা রক্ষা করবে, আগলে রাখবে বুক দিয়ে। মাঝে মাঝে পৃথিবীর দুঃখ–পোষা হাতির মত শুঁড় তুলে ওদের সেলাম করে যাবে।
লক্ষ্য করো, কী আমার সাধের ধন, কিছুতেই বললাম না। মুখ ফস্কেও না।
লক্ষ্য করো, কী আমার সাধের ধন, কিছুতেই বললাম না। মুখ ফস্কেও না।
No comments:
Post a Comment