মানান সই হল না শেষ চিঠি - Songoti

মানান সই হল না শেষ চিঠি

Share This


ছবি: শেষ চিঠি
নির্দেশনা: তন্ময় রায়
অভিনয়ে: লিলি চক্রবর্তী, সৌমিত্র চ্যাটার্জী, মৌবনি সরকার, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, দেবাশিষ গাঙ্গুলি,                   পরিচালক ঋতব্রত সহ অনেকেই। 
দৈর্ঘ্য: ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট
সঙ্গতি'র রেটিং: ২.৫/৫

বর্তমানে চলচ্চিত্র কোনো কোনো পরিবারের প্রতিবিম্ব হয়ে উঠছে, তাই আধুনিক পরিচালকদের গল্পের আধার যে পরিবার কেন্দ্রিক তা কিন্তু বলাই যায়।আর এই পারিবারিক কেন্দ্রিক গল্পের ধারনা থেকে বাদ পড়লেন না শেষ চিঠির পরিচালক তন্ময় রায়।গল্পে মমতা দেবী (লিলি চক্রবর্তী) ও শিবনাথ বাবু'র (সৌমিত্র চ্যাটার্জী) সন্তান মৌ (মৌবনি) তার স্বামী মুম্বাই এর জনৈক এক প্রডাকশনের মালিক রনেন (ঋতব্রত) সঙ্গে মুম্বাইতে বসবাসরত থাকলেও পরবর্তীকালে রনেন এর অত্যাচারে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবা-মা'র কাছে চলে আসে মৌ, সেই দিনই শিবনাথ বাবু পোষ্টমাস্টারের চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। মৌ-এর স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসার চিন্তায় হৃতজনিত কারনে মৃত্যু হয় শিবনাথ বাবুর। মমতা দেবী স্বামী শিবনাথ বাবুকে হারানোর ৫ বছর পরে। জমিদার পরিবাবের ছেলে শিবনাথ বাবুর সম্পত্তি দখলে করার উদ্দ্যেশে রনেন মুম্বাই থেকে চলে আসে এবং পরিকল্পনা করে তার শাশুড়ি মমতা দেবীকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেবে, রনেন তার পরিকল্পনায় সফলতা পেলেও পরবর্তীকালে ঘটনারক্রম এগোতেই ফিরিয়ে নিয়ে আসে মমতা দেবীকে।।
           বর্তমান সমাজ ও পরিবারের দিকে তাকালে অনেক মমতা দেবীকে দেখা যায়, তারই যথাযথ রূপ প্রতিস্থাপন করেছেন গল্পকার তন্ময় রায়। অভিনয়ের দিক থেকে প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রী সহজ সরল সাবলীল অভিনয় করেছেন, বলতে গেলে ভাল বা মন্দের বিচারে সকলেই ভীষনই ভালো।।
            এবার আসা যাক চলচ্চিত্রের গানে। সঙ্গীতে ছিলেন ইমন চক্রবর্তী, রূপংকর বাগচি সহ অনেকেই। ইমনের রবীন্দ্র সঙ্গীত আমি তোমার প্রেমে এবং রূপংকরের শেষ চিঠিতে অপূর্ব আলোড়ন ফেলেছেন চলচ্চিত্রে।এছাড়া সঙ্গীত পরিচালক সুধীর দত্ত  রবীন্দ্র সঙ্গীত ও ক্লাসিকাল ছোঁয়া বিশিষ্ট দারুন সুর বেধেছেন যা বাঙালী মননে দাগ কাটতে বাধ্য।।
            স্ক্রিন প্লে বা কাস্টিং সিনেমার মূল থিম ধরে রাখে কিংবা বলা যায় পুরো চলচ্চিত্রই বেচে থাকে এর উপর। সেক্ষেত্রে রেটিং অনেকটাই কমেছে, কেন না চলচ্চিত্রে অনেক কিছুই বেমানান বা বাড়তি মনে হয়েছে। যেমন দেখানো হয়েছে লিলি চক্রবর্তী ও সৌমিত্র চ্যাটার্জী  সন্তান হিসেবে মৌবনি এই ধরনের কাস্টিং যেমন বেমানান তেমনি প্রোডাকশন মালিক হয়ে প্রেস লাগানো স্টিকার সহ গাড়িতে চড়া এটাও বাড়তি মনে হয়েছে। পরিচালক তন্ময় রায়ের ২০১৬ সালে সার্কেল নামক সিনেমার হাত ধরেই ইন্ডাষ্ট্রিতে পদার্পন, তাও এতগুলো কমতি থেকে গিয়ে পুরো সিনেমাটি'র ছন্দপতন করেছে বলাই চলে। তবে সব কিছু যেন মধুরেন সমপয়েই হয়েও হল না।। 

No comments:

Post a Comment