বিডিএম ইন্টারন্যাশনাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ — “Wellness with Kindness”। এই বিশেষ আয়োজনের পেছনে ছিলেন বিডিএম ইন্টারন্যাশনাল, বিডিএম ইন্টারন্যাশনাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং বিডিএমআই ইন্টার্যাক্ট ক্লাব। সহায়তায় এগিয়ে আসে রুবি জেনারেল হাসপাতাল। বিডিএমআই-এর স্টেপিং স্টোন (পি২) বিল্ডিং জুড়ে সাজানো হয়েছিল স্বাস্থ্য, যত্ন এবং সহমর্মিতার আবহ।
দিনটি শুরু হয়েছিল বিনামূল্যের স্বাস্থ্য শিবির দিয়ে, যেখানে ১১৭ জন শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষক, নন-টিচিং স্টাফ ও সহযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হয় নানা পরীক্ষা — শরীরের ওজন ও উচ্চতার অনুপাত নির্ধারণ, ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার, পালস রেট ও এসপিও২ লেভেল। চিকিৎসকেরা প্রত্যেককে ব্যক্তিগত পরামর্শ দেন। ডায়েটিশিয়ান সুচিস্মিতা দে পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন, ডাক্তার সौरভ পল তত্ত্বাবধান করেন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা, আর সমাপ্তি ধাং সম্পাদন করেন ইসিজি। শিক্ষকরা এই শিবির থেকে শুধু রিপোর্টই নয়, জীবনযাত্রা নিয়ে প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও নতুন অনুপ্রেরণা পান।
একই দিনে উন্মোচিত হয় রুবি জেনারেল হাসপাতালের কফি টেবিল বুক, যা তাদের ৩০ বছরের স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাস তুলে ধরে। প্রিন্সিপাল মধুমিতা সেনগুপ্তা বলেন, “প্রতিবছর আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করলেও, এ বছর আমরা বেছে নিয়েছি স্বাস্থ্য শিবির। কারণ শিক্ষকরা প্রায়শই নিজেদের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করেন, ক্লাস নেওয়ার ব্যস্ততায় ডাক্তার দেখানো মিস হয়ে যায়। এই উদ্যোগ তাদের জন্যই।”
অ্যালামনাই ও শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় Friends in Need – Priority Family Health Card, যার মাধ্যমে অপিডি কনসালটেশন, ইনডোর চার্জ, ডায়াগনস্টিক্স সহ নানা পরিষেবায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি সূচনা হয় পুরনো জামাকাপড় সংগ্রহ অভিযানের, যা চলবে ১৩ থেকে ১৯ই সেপ্টেম্বর, আর বিতরণ হবে ২১শে সেপ্টেম্বর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা সেনগুপ্তা, সহ-প্রধান শিক্ষিকা কমলিকা ভৌমিক, রুবি জেনারেল হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) শিবেতা সমাদ্দার, মার্কেটিং হেড অমিত রায়, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শুভময় সমান্তা এবং একাধিক এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অ্যালামনাই কমিটির সদস্যা অবন্তি আচার্য।
“Wellness with Kindness” শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং শিক্ষকদের প্রতি সম্মান, যত্ন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতীক হয়ে উঠল। স্বাস্থ্য আর সহমর্মিতাকে কেন্দ্র করে বিডিএমআই আবারও প্রমাণ করল যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানই নয়, জীবনের মূল্যবোধও গড়ে তোলে।
No comments:
Post a Comment