প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্যার্থে "জাগৃতিধাম" - Songoti

প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্যার্থে "জাগৃতিধাম"

Share This


সৌমী সেন : আমাদের  সমাজের প্রবীণ নাগরিকরা আমাদের কাছে অনেকটা ছাতার মত। আমাদের জন্য সাহায্যের হাত তাঁরা  সবসময় উন্মুক্ত করে দেন। ছোটবেলা থেকে বড় বয়স অবধি সব সময় আমাদের প্রবীণরা আমাদের পাশে থাকেন। কিন্তু,  বর্তমানে ছেলেমেয়েরা তাঁদের  লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাঁদের  অভিভাবক - অভিভাবিকা দের বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দেন এবং শুধু তাই নয় বৃদ্ধাশ্রমে থাকার পর তাঁরা  কি অবস্থায় আছেন,  সেই খোঁজটাও অনেকে নেন না। এই মানুষগুলোর সাহায্যার্থেই  এগিয়ে এসেছে ইনফিনিটি গ্রুপের "জাগৃতিধাম"। 

সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রবীণদের সুরক্ষা তে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই আলোচনা সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ইনফিনিটি গ্রুপের মার্কেটিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিন্দ্য দাস। বৈঠকে বার্ধক্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট অফ জেরোন্টোলজির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ডাঃ ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কনসাল্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট চিত্রাঙ্কনা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি কেবলমাত্র প্রবীণদের শারীরিক সুস্থতাই নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার বিষয়টির ওপরও জোর দেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অ্যালজাইমার্স অ্যান্ড রিলেটেড ডিসঅর্ডার্স সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার, কলকাতা চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি জেনারেল নীলাঞ্জনা মৌলিক। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিচর্যাকারীদের মুখোমুখি হওয়া প্রতিদিনের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়টি। এছাড়াও মঞ্চে ছিলেন অপ্রতিম চট্টোপাধ্যয়, সাপোর্ট এলডার্স গ্রূপের প্রতিষ্ঠাতা এবং এমডি ও সিইও। 


আলোচনা সভার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী উপস্থাপন করেন সিনিয়র সিটিজেনস অ্যাক্ট ২০০৭-এর নানা দিক। সেখানে উঠে আসে প্রবীণদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং বর্ধিত বার্ধক্য জনসংখ্যার ভবিষ্যত সম্পর্কে সচেতনতা, তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি। 

উল্লেখ্য, ইনফিনিটি গ্রূপ-এর হাত ধরে ইতিমধ্যেই পথ চলা শুরু করেছে জাগৃতি ধাম। অন্যান্য 'গ্রিন বিল্ডিং'-এর মতো এই বাসকেন্দ্র-এরও অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এটি পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়কর। শুধু তাই নয়, জাগৃতি ধাম-এ রয়েছে সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং ডিমেনশিয়া ও পার্কিনসন্স রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও। এমনকি প্রবীণ আবাসিকদের সুরক্ষার জন্যও এখানে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি ও সমস্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। 

ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (IGBC)-এর তরফে শংসাপত্র পেয়েছে জাগৃতি ধাম কর্তৃপক্ষ এবং  বর্ষীয়ান নাগরিক আবাসকেন্দ্র হিসেবে লাভ করেছে 'সিলভার রেটিং'-ও। সেই নিরিখে পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম ও সমগ্র ভারতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাগৃতি ধাম

No comments:

Post a Comment