আইটিসি লিমিটেডের ফ্যাবেল নিয়ে এল হার্ট অব গোল্ড কালেকশন; ২৪ ক্যারেট ভোজ্য সোনায় মোড়া ভারতের প্রথম লাক্সারি চকোলেট - Songoti

আইটিসি লিমিটেডের ফ্যাবেল নিয়ে এল হার্ট অব গোল্ড কালেকশন; ২৪ ক্যারেট ভোজ্য সোনায় মোড়া ভারতের প্রথম লাক্সারি চকোলেট

Share This

কলকাতাদেশের বহুমূল্য লাক্সারি চকোলেটগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা আইটিসি লিমিটেডের ফ্যাবেল এক্সকুইজিট চকোলেটস। তারা একটি অনন্য হার্ট অব গোল্ড কালেকশন লঞ্চ করার কথা ঘোষণা করে। একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে এই কালেকশনটি লঞ্চ করা হয়। হার্ট অব গোল্ড কালেকশন হল প্রথম এই ধরনের চকোলেট যেটি ২৪ ক্যারাটের খাঁটি ভোজ্য সোনায় মোড়া। ঠিক দীপাবলির আগেফ্যাবেল মাস্টার চকোলেটস এবং মিশেলিন স্টার শেফ মার্কো স্টেবিলের যৌথ সহযোগিতায় ব্র্যান্ডটি এই সোনায় মোড়া চকোলেট লঞ্চ করে। শেফ স্টেবিল একজন ইতালিয়ান শেফ। ভোজ্য সোনা ব্যবহার করে খাবার তৈরিতে তাঁর নাম বিশ্ববন্দিত। ব্র্যান্ডের অনন্য ক্ষমতা এবং ফ্যাবেল মাস্টার চকোলেট তৈরির কারিগরদের সঙ্গে শেফ স্টেবিলের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাশিক্ষা, সংবেদনশীলতা, সহযোগিতা এবং সর্বোপরি সমৃদ্ধ দক্ষতার ফলেই তৈরি হয়েছে ফ্যাবেল হার্ট অব গোল্ড কালেকশন।

এর পাশাপাশি ফ্যাবেল হার্ট অব গোল্ড কালেকশনের মাধ্যমে সেই সমস্ত বিশিষ্ট নাগরিক এবং সংস্থার অসাধারণ কৃতিত্বকে উদযাপন করা হয়েছে যাদের অবদান সমাজে অনস্বীকার্য। যাঁরা প্রতিনিয়ত দেশ গঠনে সাহায্য করে যাচ্ছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন নারয়ণ হেলথের চেয়ারম্যান এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিকিৎসক দেবী শেঠিআকার চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা আমলা রুইয়া এবং ২০২০ সামার প্যারালিম্পিক্সের সোনা জয়ী কৃষ্ণ নগর। সমাজ গঠনে তাঁদের কৃতিত্ব এবং অসীম অবদানের জন্য তাঁদেরকে ফ্যাবেল হার্ট অব গোল্ড উপাধি দেওয়া হয়। এছাড়া একটি লিমিটেড এডিশন মেহগনি কাঠের বাক্সের ভিতরে বিশেষভাবে সাজানো হার্ট অব গোল্ড কালেকশন রেঞ্জ দিয়ে তাঁদের সংবর্ধিত করা হয়। এই কালেকশন আসলে সমাজে তাঁদের কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ।



চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতার পাশাপাশি চিকিৎসক দেবী শেঠি নিঃস্বার্থভাবে কর্ণাটকের কোভিড টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সামনে থেকে তাঁর নেতৃত্বতাঁর অপার জ্ঞান এবং সহানুভূতির মিশেল এমন একটি শক্তিশালী হেলথকেয়ার ইকোসিস্টেম তৈরি করেছিল যা কর্ণাটককে অতিমারির সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে সাহায্য করেছিল। আবার আকার চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা আমলা রুইয়া রাজস্থানের প্রায় ৫০০-রও বেশি গ্রামের খোলনলচে বদলে দিয়েছেন। প্রথাগত জল সংগ্রহের কৌশল ব্যবহার এবং চেক ড্যাম তৈরি করে প্রায় ২ লক্ষ গ্রামবাসী এবং তাদের পরিবারের জীবনকে সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। ২২ বছর বয়সী শাটলারকৃষ্ণ নগর ২০২০ সামার প্যারালিম্পিক্সে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। তাঁর হাত ধরেই আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে রেখে আগামীর স্বপ্ন দেখছে এবং জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করছে। খেলাধুলার প্রতি তাঁর আবেগ ও স্বপ্নপ্যারা স্পোর্টস ও ট্র্যাডিশনাল স্পোর্টসের মধ্যে থাকা সমস্ত বাধা ঘুচিয়ে দিয়েছে। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিতাঁর এই সার্বিক সাফল্য গোটা দেশকে গর্বিত করেছে।

 

বীরত্বজ্ঞানসহানুভূতিবিশুদ্ধতাএবং কঠোর অধ্যাবসায় সমাজের প্রেক্ষাপটে তাঁদের এই সমস্ত চারিত্রিক দৃঢ়তা ও গুণাবলীগুলিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরতেই ফ্যাবেল হার্ট অব গোল্ড কালেকশন তৈরি করা হয়েছে। বলা যায়এটি এই সমস্ত গুণাবলীর একটি অপরূপ মিশেল যা একটি সত্যিকারের স্বর্ণ হৃদয় বা হার্ট অব গোল্ড গঠন করে। সেই হার্ট অব গোল্ডকেই চকোলেটের বাক্সে ২৪ ক্যারেটের ভোজ্য সোনায় মোড়া প্রালিনস আকারে কল্পনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি হল দ্য ভ্যালোর প্রালিন অর্থাৎ বীরত্বের প্রতীক। এই চকোলেটটির আকার রুবির ন্যায় লাল এবং মুজ ফিলিং সহযোগে ২৪ ক্যারেট খাঁটি ভোজ্য সোনায় মোড়া। অন্যদিকে নলেজ প্রালিন একটি আমন্ড - হেজেলনাট আকারের এবং রিচ ডার্ক মুজ ফিলিং সহযোগে ২৪ ক্যারেট খাঁটি ভোজ্য সোনায় মোড়া। এই নলেজ প্রালিন আসলে মনের সমৃদ্ধির প্রতীক। দ্য কমপ্যাশন প্রালিন তার অভিব্যক্তি খুঁজে পেয়েছে সোনায় মোড়া আলফোনসো আমের সঙ্গে মিল্ক চকো মুজের নরম আমেজে। দ্য পিউরিটি প্রালিন প্রিস্টিন সাদা মুজের সঙ্গে হালকা লেবুর স্বাদ সহযোগে ২৪ ক্যারেট খাঁটি সোনায় মোড়া। এবং সবশেষে দ্য এনডিউরিং স্পিরিট ফুটে উঠেছে গোল্ডেন ক্যারামেলে ভরা হেজেলনাট - আমন্ড প্রালিনের সঙ্গে পারসিস্টেন্স বা কঠোর অধ্যাবসায় প্রালিনের ২৪ ক্যারেট সোনায় মোড়া ক্রিস্পসে।

 

বিষয়টি নিয়ে বেশ আনন্দিত হয়েই অনুজ রাস্তোগী, আইটিসি লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসারচকোলেটসকনফেকশনারিকফি এবং নিউ ক্যাটেগরিজফুড ডিভিশনবলেন, “বছরের পর বছর ধরেফ্যাবেল বিভিন্ন ধরনের অসাধারণ লঞ্চের মাধ্যমে ভারতের চকোলেট প্যালেটকে উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতীয় চকোলেটের রসপণ্ডিতদের সম্মুখে অনবদ্য অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করতে পারাআমাদেরকে এই অতুলনীয় চকোলেটটি তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করেছে। শেফ মার্কো স্টেবিলের কাছে আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ যিনি আরও একটি দারুন মাস্টারপিস তৈরি করার পথে আমাদের সঙ্গী হয়েছিলেন। এ ছাড়াও আমরা আমাদের দেশের বীর যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে পেরে গর্বিতযাঁরা দুর্গম পথ অতিক্রম করেও নিজ নিজ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করেছেন এবং দেশকে অনন্য সম্মান এনে দিয়েছেন।”

 

ফ্যাবেলের সঙ্গে যৌথ ভাবে হার্ট অব গোল্ড তৈরির অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে মিশেলিনের স্টার শেফ মার্কো স্টেবিল বলেন, “ফ্যাবেল চকোলেটসের সঙ্গে কাজ করে আমি আপ্লুত। ভোজ্য সোনায় মোড়া এই মাস্টারপিসটি তৈরি করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে আমি এমন একটি উপাদান নিয়ে কাজ করছি যা নিয়ে ভারতীয় গ্রাহকদের মধ্যে এক শক্তিশালী অনুভূতি রয়েছে। আমি একজন গল্পকার হিসেবে গর্ববোধ করি এবং ভোজ্য সোনা ব্যবহার করে সেই গল্পের উপাদানগুলি জীবন্ত করে তুলি। যা গ্রাহকদেরকে এক উচ্চতর মাল্টি সেন্সরিয়াল রন্ধনশৈলীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।”

 

ফ্যাবেল হার্ট অব গোল্ড কালেকশনের লিমিটেড বাক্সগুলির দাম ২১০০ টাকা (ট্যাক্স সহ)। ১০টি প্রালিনস সহ এই বাক্সটি দেশের ফ্যাবেল বুটিকগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি এখন এটি প্রি-বুকও করা যাচ্ছে। পাশাপাশি সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রদান করা মেহগনি কাঠের বাক্সের মধ্যে থাকা চকোলেটের রেঞ্জের অনুরূপটির দাম ২১,০০০ টাকা (ট্যাক্স সহ)। এটির বিক্রি থেকে যে আয় হবেতা মেক-আ-উইশ ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

No comments:

Post a Comment