কলকাতা: উৎকৃষ্ট এবং তরতাজা ডেয়ারি প্রোডাক্টের জন্য পরিচিত আইটিসি-র আশীর্বাদ স্বস্তি। সংস্থার সাম্প্রতিক প্রচারাভিযান “রেইজ অ্য গ্লাস অফ মিল্ক” –এর মধ্য দিয়ে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ দুধ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে এই প্রচার কার্যের সূচনা হয়। উদ্যোগের উদ্দেশ্য, এই কঠিন সময়ে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ আশীর্বাদ স্বস্তি দুধ, দুস্থ শিশু, প্রবীণ নাগরিক এবং সামনের সারির যোদ্ধাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও, বৃদ্ধাশ্রম এবং হাসপাতালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে ক্যালকাটা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমআরআই), রুবি হাসপাতাল, সেভ দ্য চিলড্রেন, শিবাশ্রম সেবা ট্রাস্ট, বিধান আনন্দ আশ্রম এবং বেহালা শান্তিনিলয়ের মতো সংস্থা। এই সহযোগীদের মাধ্যমে আগামী দিনে দুধ বিতরণ আরও তরান্বিত করা হবে, যাতে তা কলকাতার অনাথাশ্রম এবং দরিদ্র পরিবারগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে শুরু হওয়া এই ডিজিটাল ক্যাম্পেনে গ্রাহকদেরও অংশগ্রহণ করার উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য হাতে এক গ্লাস দুধ নিয়ে ইনস্টাগ্রাম অথবা ফেসবুকে “রেইজ অ্য গ্লাস অফ মিল্ক” হ্যাশট্যাগ সহ তাঁদের একটি ছবি পোস্ট করতে বলা হয়। এই ব্র্যান্ডের প্রতিশ্রুতি ছিল যে, যত সংখ্যক ছবি পোস্ট হবে, সমসংখ্যক গ্লাস দুধ তারা দুস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেবে। “রেইজ অ্য গ্লাস অব মিল্ক” ক্যাম্পেনে গ্রাহকদের থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। বহু সংখ্যক মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে শ্রী সঞ্জয় সিঙ্ঘল, চিফ অপারেটিং অফিসার – ডেয়ারি অ্যান্ড বেভারেজেস, আইটিসি লিমিটেড বলেন, “আমরা ডেয়ারি মার্কেটে প্রবেশ করেছিলাম এই অঙ্গীকার নিয়ে যে আমরা শুধু তরতাজা ডেয়ারি প্রোডাক্টই সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেব না, তার স্বাদ ও গুণমানেও হবে উৎকৃষ্ট এবং অবশ্যই তা আমাদের গ্রাহকদের জীবনকেও সমৃদ্ধ করবে। পুষ্টির অভাব মেটানোর খুব কার্যকরী উপায় হল ভিটামিন সমৃদ্ধ দুধ। প্রতিশ্রুতি মতো আশীর্বাদ স্বস্তি, কলকাতার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং হাসপাতালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুস্থ মানুষদের কাছে এই ভিটামিন সমৃদ্ধ দুধ পৌঁছে দিচ্ছে। আমরা সেই সমস্ত গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা এই উদ্যোগকে সফল করার যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছিলেন।”
আশীর্বাদ স্বস্তি অনেক বছর ধরে সচেতন এবং সক্রিয় থেকেছে যাতে ভিটামিন সমৃদ্ধ দুধের মাধ্যমে ইমিউনিটি বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা যায়।
No comments:
Post a Comment