মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ ভাবনায় সেজে উঠল কলকাতার মণ্ডপ - Songoti

মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ ভাবনায় সেজে উঠল কলকাতার মণ্ডপ

Share This

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবকে ঘিরে যখন থিমে মত্ত কলকাতা, তখন সেই থিমেই ভিন্ন মাত্রা যোগ করল মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ ভাবনা। জনসচেতনা বাড়াতে দুর্গাপুজোর থিমে এই ভাবনাকে আরও সাজিয়ে তুলল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুর সর্বজনীন ক্লাব। কিন্তু কেন এমন থিম বেছে নিলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ? আলিপুর সর্বজনীনের সেক্রেটারি শৈবাল গুহ বলেন, “রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুলিশের এই জনসচেতনতা অত্যন্ত সফল। সেই কারণেই আমরা এবছর পুজোর থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি এই প্রচারটিকে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সচেতন করাও সম্ভব হবে। এমনকি আমরা প্যান্ডেলেও হেলমেট এবং সিটবেল্ট ব্যবহার করছি।”
তৃতীয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজোর উদ্বোধন করেন। থিমের কথা মাথায় রেখেই পুরো প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং বিভিন্ন রকম গাড়ি দিয়ে। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হেলমেট, সিটবেল্ট, স্পিডোমিটারও রাখা হয়েছে মণ্ডপটিতে। শুধু তাই নয়, স্পিডোমিটারটিকে রাখা হয়েছে এমনভাবে যেখানে দুর্গার ত্রিশূলটি সেদিকেই নিশানা করছে। জানা যাচ্ছে, পঞ্চমীর মধ্যেই জনজোয়ারে ভেসেছে দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো মণ্ডপটি। মানুষের থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত ক্লাব কর্তারাও।সম্পূর্ণ মণ্ডপজুড়ে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে প্রচার বার্তা। সাবধানতা অবলম্বন করে কীভাবে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে সেই বিষয়গুলিকেও দেখানো হয়। এমনকি থিমের সঙ্গে মানানসই করে করা হয়েছে মণ্ডপের আলোকসজ্জাও। জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য এমনিতেই জনপ্রিয় আলিপুরের এই ক্লাবটি। ক্লাবের তরফে চেতলা, ভবানীপুর এবং কালিঘাটে বেশ কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের রেশন এবং বস্ত্রও দেওয়া হয়। এক ক্লাবকর্তা বলেন, “আমরা চেষ্টা করি যেসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নিঃসঙ্গ জীবন কাটান তাঁদের সাহায্য করতে। ক্লাবের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, যাদের আমরা মাসে দু’বার রেশন দিয়ে আসি।” উল্লেখ্য, ৮ জুলাই ২০১৬ সালে নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেফ ড্রাইড, সেভ লাইফ’ প্রচার শুরু করেছিলেন। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রচারের পর থেকে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কমেছে গাড়ি দুর্ঘটনার সংখ্যাও।
সূত্র ঃ আই ই বাংলা

No comments:

Post a Comment