ভরা বর্ষায় পথে দুর্ভোগ : অবরোধে বড়দের সঙ্গে পড়ুয়ারাও - Songoti

ভরা বর্ষায় পথে দুর্ভোগ : অবরোধে বড়দের সঙ্গে পড়ুয়ারাও

Share This
দেবাশিস ঘোষ , চাঁচল : অভিযোগ , দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি রাস্তা। ওই  রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে  বড় বড় গর্ত। বর্ষার জলে গর্তগুলি টইটম্বুর। দেখলে মনে হবে রাস্তায়  একাধিক জলাশয় রয়েছে। রাস্তার বড় অংশ জুড়ে জল জমে থাকায়  বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন প্রান্তের পথচারী ও ছাত্রছাত্রীদের। পরিস্থিতি এমন যে  ,  এক বাসিন্দার বাড়ির উঠোন দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে বাধ্য  হচ্ছেন তারা।  যানবাহনের  জন্য  লাগোয়া একটি মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয়দের কথায় , বৃষ্টি হলে ওই পথে চলাচল প্রায় বন্ধই থাকছে। নিতান্তই  বাধ্য  অন্য পথে যেতে হয়। স্থানীয় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ  , রাস্তার বড় অংশ জুড়ে জল জমে থাকায় হয়রানির যেন শেষ নেই। গত প্রায় বছর দুই ধরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও ফল মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালদহের চাঁচল -১ ব্লকের থাহাঘাটি এলাকায় ওই সড়কপথ অবরোধ করে বাসিন্দা ও ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখালেন। ৬ঘন্টা পর  প্রশাসনের আশ্বাসে অবশ্য তারা অবরোধ  তুলে নেন। শীঘ্রই  সমস্যা না মেটানো হলে আবারও অন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।


মহকুমা প্রশাসন জানায় , নিকাশি সমস্যার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সমস্যা মেটাতে শীঘ্রই পদক্ষেপ করা হবে। জানা যায় , প্রায়  বছর ১০ আগে থাহাঘাটি থেকে জগন্নাথপুর পর্য়ন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকার করা হয়েছিল। মকদমপুর, ভগবানপুর ও মহানন্দপুর পঞ্চায়েত সহ একাধিক এলাকা থেকে চাঁচলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। ওই রাস্তার  দুইপাশে একাধিক প্রাইমারি , হাইস্কুল ও বাজার রয়েছে। কিন্তু চাঁচল থেকে কিছুটা এগিয়েই থাহাঘাটিতে ওই রাস্তার  বড়  অংশ জুড়ে বৃষ্টির জল জমে  সমস্যা তৈরি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা সহ থাহাঘাটি হাই মাদ্রাসার কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীরা এক বাসিন্দার বাড়ির আঙিনা ও পাশের মাটির রাস্তা দিয়ে কোনও রকমে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর যানবাহন পাশের মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও বৃষ্টি হলে তাদের আট কিলোমিটার পথ ঘুরে মকদমপুর হয়ে যাতায়াত করতে হয়। এরফলে প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটছে। আজ সকাল থেকেই স্থানীয়  বাসিন্দারা পথ অবরোধ শুরু করেন।  ছাত্রছাত্রীরাও পরে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তহিদুল হক , নুরুল ইসলাম , আবেদ আলি ও মোবারক হোসেনরা বলেন , " রাস্তার জন্য আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আগে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে বারবার জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। মহকুমা প্রশাসনের তরফে আজ অবশ্য আমরা আশ্বাস পেলাম। শীঘ্রই সমস্যার সুরাহা না মিললে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।"

No comments:

Post a Comment