দেশের সবথেকে বড় নিউজ নেটওয়ার্ক TV9-এ প্রধানমন্ত্রীর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার - Songoti

দেশের সবথেকে বড় নিউজ নেটওয়ার্ক TV9-এ প্রধানমন্ত্রীর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার

Share This

 



কলকাতা:
দেশের সবথেকে বড় নিউজ নেটওয়ার্ক TV9-এর মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথমবার ‘রাউন্ড টেবিলে’ ছয় সম্পাদকের চোখা প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হলেন মোদী। কথা বললেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ দাসের নেতৃত্বে নয়া উচ্চতায় পৌঁছল সংস্থা। TV9 নেটওয়ার্কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে অবগত করতে ‘এক্স মাধ্যমে’ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারের এই বিশেষ ধরনের প্রশংসাও করেছেন তিনি।এই রাউন্ড টেবিল ইন্টারভিউ ‘PM & 5 Editors’ পুণঃ সম্প্রচার হতে চলেছে আগামীকাল ৫মে, রবিবার, সকাল ৮ টা থেকে সকাল ৯.৩০ পর্যন্ত একটানা টিভি নাইন বাংলাতে।  

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে রাউন্ড টেবিলে উপস্থিত থাকছেন TV9 ভারতবর্ষ-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডিটর নিশান্ত চতুর্বেদী, TV9 মারাঠি-র ম্যানেজিং এডিটর উমেশ কুমাওয়াত, TV9 তেলেগু-র ম্যানেজিং এডিটর ভেল্লালাচেরুভু রজনীকান্ত, TV9 বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্য, TV9-গুজরাটির চ্যানেল হেড কল্পক কেকরে এবং TV9 কন্নড়-এর চিফ প্রোডিউসার রঙ্গনাথ এস ভরদ্বাজ। Prime Minister and Five Editors- এই শিরোনামে সম্প্রচারিত হবে এই সাক্ষাৎকার।

এই সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের ভোট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মোদী। রাম মন্দিরের মতো ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

‘২০২৪ সালে আমাকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে’, টিভি-৯ এর বিশেষ সাক্ষাৎকারে বললেন মোদী

কলকাতা: লোকসভা ভোটে আবহে ফুটছে গোটা দেশ। এরইমধ্যে দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক টিভি-৯ বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করলেন দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা। একইসঙ্গে সংবিধান থেকে রাম মন্দির নানা ইস্যুতে বললেন কথা। ভোটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও কথা বলেন। একইসঙ্গে মানুষের যে তাঁর উপর পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশা রয়েছে সে কথাও এদিন টিভি-৯ নেটওয়ার্কের ৫ এডিটরের সঙ্গে অকটপটে বললেন মোদী। বললেন, ২০১৪ সালে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন থাকলেও আশা ছিল, ২০১৯ সালের নির্বাচনে সেই আশা বিশ্বাসে রূপান্তরিত হয়েছে।

পুরনো নির্বাচনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে খানিক আত্মবিশ্বাসের সুরে মোদীকে বলতে শোনা যায়, “নির্বাচন আমার কাছে নতুন নয়। ২০১৪ সালে যখন আমরা নির্বাচনে লড়েছিলাম তথন মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। কিন্তু, মানুষের মধ্যে একটা আশা ছিল যে মোদী কিছু করবেন। ২০২৪ সালে তা গ্যারান্টিতে পরিণত হয়েছে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালে সেবার সুযোগ ছিল। ২০১৯ সালে আমি রিপোর্ট কার্ড নিয়েছিলাম। ২০২৪ সালে আমাকে সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। এটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে।” 

‘ভোট আমার জন্য নতুন নয়’, টিভিনাইনে এক্সক্লুসিভ নরেন্দ্র মোদী

 মোদী বলেন, দেশ ও গোটা বিশ্বের এক বিশেষ ভূমিকায় থাকার পাশাপাশি ভোটের ময়দানে লড়ছেন তিনি। নমো বলেন, "২০১৪ সালে আমি যখন নির্বাচন লড়ি, তখন মানুষের মনে অনেক প্রশ্নচিহ্ন ছিল। মোদীজী নতুন ভাবতেন। তবে তাঁদের মনে কিন্তু একটা আশা ছিল।"

নয়াদিল্লি: ২০১৪, ২০১৯ সালের পর ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে লড়ছেন নরেন্দ্র মোদী। বাকি দুই নির্বাচনের তুলনায় এই ভোট কতটা আলাদা? টিভিনাইন নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সে জবাব দিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “ভোট আমার জন্য নতুন নয়। আমি দীর্ঘ সময় সংগঠনে থেকে ভোট করিয়েছি। এরপর প্রথমবার গুজরাটে আমার কাছে ভোটে লড়ার সুযোগ এল। এখন আরও এক ভূমিকায় আমি।

মোদী বলেন, দেশ ও গোটা বিশ্বের এক বিশেষ ভূমিকায় থাকার পাশাপাশি ভোটের ময়দানে লড়ছেন তিনি। নমো বলেন, “২০১৪ সালে আমি যখন নির্বাচন লড়ি, তখন মানুষের মনে অনেক প্রশ্নচিহ্ন ছিল। মোদীজী নতুন ভাবতেন। তবে তাঁদের মনে কিন্তু একটা আশা ছিল।”

নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ২০১৪ সালে মানুষের মনে আশা ছিল, কিছু করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “২০১৯ সালের ভোটের সময় আমি দেখলাম সেই আশা বিশ্বাসের রূপ নিয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ অবধি যে পরিশ্রম, পারফর্ম্যান্স, ধারাবাহিকতা, স্বচ্ছতা মানুষ দেখেছেন, তা একটা বিশ্বাস ছিল।”

যে প্রত্যাশা বিশ্বাসের রূপ নিয়েছিল, এখন তা গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে, বলেন নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, “২০২৪-এ সেবার বড় সুযোগ পেয়েছি। সেবার জন্য আমি নিজেকে সমর্পিত করে দিয়েছি। এবার মানুষের আকাঙ্খাকে পূরণ করতে হবে।”

নরেন্দ্র মোদী বলেন, ২০১৪ সালে ভোটে লড়ার সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তবু তাঁকেই টার্গেট করা হয়। অনেক কঠিন পথ পার করে এগোতে হয়েছিল সে সময়। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে সে পথ পার করে এসেছেন। এভাবেই এগিয়ে যাবেন বলেও আশাবাদী বলে জানান নমো।

‘আগে বামেরা, এখন তৃণমূল বাংলাকে শেষ করে দিয়েছে’: মোদী

 “ভারতকে বিকশিত করতে হলে দেশের কিছু রাজ্যর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যে রাজ্যগুলির সবথেকে বেশি ক্ষমতা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলা।” বিশেষ সাক্ষাৎকারে বললেন মোদী।

কলকাতা: গোটা দেশের পাশাপাশি লোকসভা ভোটের আবহে তপ্ত হচ্ছে বাংলা। শেষ লোকসভা নির্বাচনে এই বাংলার ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ আসন পেয়েছিল বিজেপি। তারপর থেকে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে পদ্ম শিবিরের বিজয়রথ। এবার এই বাংলা  থেকে ৩০ থেকে ৩৫ আসন চাইছে মোদী ব্রিগেড। বাংলায় এসে বঙ্গ বিজেপির জন্য টার্গেট ঠিক করে দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে বিগত কয়েক সপ্তাহে দফায় দফায় বাংলায় এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম সভা করেছিলেন কৃষ্ণনগরে। সেই কৃষ্ণনগরে এবারে বিজেপির বাজি কৃষ্ণনগরের রানি মা অমৃতা রায়। তাঁর সমর্থনে প্রচার করেছেন মোদী। সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন TV9 নেটওয়ার্কের বিশেষ সাক্ষাৎকারে ৫ এডিটর্সের ‘রাউন্ড টেবিলে’ ফের আরও একবার তোপ দাগলেন তৃণমূলকে। ফুঁসে উঠলেন বামেদের বিরুদ্ধেও। মোদীর সাফ দাবি, বর্তমানে তৃণমূলের জন্যই শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলা। কিন্তু, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বাংলাকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। 

এদিন তিনি বলেন, “ভারতকে বিকশিত করতে হলে দেশের কিছু রাজ্যর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যে রাজ্যগুলির সবথেকে বেশি ক্ষমতা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলা। ভারতের ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখা যাবে সামাজিক দিক থেকে উন্নতি বাংলার হাত ধরে হয়েছে। ভারতের বিপ্লবী আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনে পুরোভাগে দেখা গিয়েছে বাংলাকে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “বিশ্বে ভারতের নাম ছড়ানোর পিছনেও বাংলার বড় হাত আছে। এ ক্ষেত্রে আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাশাপাশি বিবেকানন্দ, জগদীশ চন্দ্র বসুর নাম করতে পারেন। কিন্তু এই বাংলার এই পরম্পরাকে আগে বামেরা এখন তৃণমূল শেষ করে দিয়েছে। দেশকে এগিয়ে যেতে হলে বাংলার পুনর্জাগরণ দরকার।” 

‘অনুপ্রবেশকারীরা এখন মমতার কাছে সোনার থালা’: মোদী

নরেন্দ্র মোদীর কথায়, "যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মমতাজী সংসদে কাগজ উড়িয়ে তুফান তুলে ফেলেছিলেন, এখন তিনিই সেই অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছেন। এখন তা সোনার থালার মতো। ওনার জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলিও ভোটব্যাঙ্ককে মাথায় রেখে। ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে সিন্দুক খোলেন উনি।"


নয়াদিল্লি: বাংলায় অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টিভি-৯ নেটওয়ার্কের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে, মোদী বলেন, যে মমতা একসময় অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করে সংসদে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সামনে কাগজ উড়িয়েছিলেন, সেই মমতাই আজ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছেন।

নরেন্দ্র মোদীর কথায়, “যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মমতাজী সংসদে কাগজ উড়িয়ে তুফান তুলে ফেলেছিলেন, এখন তিনিই সেই অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছেন। এখন তা সোনার থালার মতো। ওনার জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলিও ভোটব্যাঙ্ককে মাথায় রেখে। ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে সিন্দুক খোলেন উনি।”


নরেন্দ্র মোদী বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলা আবারও শ্রেষ্ঠ আসন নিতে পারে। কিন্তু তার জন্য বাংলাকে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি থেকে বের করে আনতে হবে। তাঁর কথায়, “ভারতকে বিকশিত করতে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ভারতকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে বাংলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই মহান পরম্পরাকে প্রথমে লালেরা এবং এখন তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। দেশকে এগোতে হলে বাংলার নতুন করে জাগরণ দরকার। তবে দুঃখের বিষয় বাংলায় ক্ষমতালোভীরা মসনদে। তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে।”


No comments:

Post a Comment