কলকাতা: দুর্গা পূজার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। পূজোর উন্মাদনায় ভরপুর তিলোত্তমা। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বাজার ও মলে মানুষের ভিড়। এমন দিনে মার্লিন গ্রুপের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা শাখা কালীঘাটের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'পথচালা' -এর ছোট্ট মুখ গুলিতে হাসি ফোটাতে তাদের বিনীত প্রচেষ্টা৷ মার্লিন আই অ্যাম কোলকাতা ৬৫ জন শিশুকে পূজার পোশাক উপহার হিসাবে পথচলার হাতে তুলে দিয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ও পরবর্তী চার মাসের জন্য খাবার এবং শিক্ষামূলক স্টেশনারী, শিল্প ও কারুশিল্প সহ তাদের শিক্ষাগত ক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলে ঘোষণা করেছে। যদিও এর আগেও পথচলার পাশে দাড়িয়েছিলেন মার্লিন আই অ্যাম কোলকাতা। আজ প্রিন্সটন ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং 'মার্লিন আই অ্যাম কোলকাতার' প্রতিষ্ঠাতা শ্রী সাকেত মোহতা, তবলাবাদক রাতুল শঙ্কর। সকলের উপস্থিতিতে পূজোর পোশাক উপহার হিসাবে পথচলার হাতে তুলে দেন সাকেত মোহতা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পথচলার সভাপতি রুক্মিণী পাল।
এম.ডি ও আই অ্যাম কোলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সাকেত মোহতার বক্তব্য,-"দুর্গা পূজা হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব যেখানে লক্ষাধিক লোক নতুন পোশাক পরে আনন্দে মেতে ওঠে। তবে আমি মনে করি এই উৎসব সমাজের সকল স্তরের। পথচলা কালীঘাট এবং এর আশেপাশের এলাকার দৈনিক মজুরি উপার্জনকারী শিশুদের শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে নিরন্তর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এখানকার শিশুদেরও নতুন জামাকাপড় পরার এবং পূজোর আনন্দে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমার জন্মদিনকে আরও বিশেষ করে তুলতে তাদের পাশে থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। আমাদের নম্র সাহায্য যদি ছোট ফেরেশতাদের প্রফুল্লতা আনতে পারে, আমরা আরও তৃপ্ত বোধ করব। আমরা তাদের শিক্ষার প্রসার এবং খাবারের মাসিক প্রয়োজনে পাশে থাকব, যা তাদের অগ্রগতির সাহায্য করবে।"
পথচলার সভাপতি রুক্মিণী পাল বলেছেন, “পথচলা কম সুবিধাপ্রাপ্ত এবং পিছিয়ে থাকা শিশুদের জন্য কাজ করে চলেছে এবং তাদের পাশে থাকতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। মার্লিন আই অ্যাম কোলকাতার কাছ থেকে সমর্থন পেয়ে আমরা খুশি। মার্লিন সবসময় তাদের নিজস্ব উপায়ে আমাদের সমর্থন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন, তা আমাদের বাচ্চাদের বৃত্তিমূলক দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে হোক বা নতুন জামাকাপড় বা শিক্ষাগত স্থিতিশীল প্রদানের মাধ্যমে। মার্লিন সর্বদা কম সুবিধাপ্রাপ্ত লোকদের পাশে এসে দাড়াতে পিছপা হয় না। আমরা তাদের প্রতি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ”।
No comments:
Post a Comment