বৃক্ষরোপণ উৎসব নিয়ে কবি বলেছেন, পৃথিবীর দান গ্রহন করবার সময় মানুষের লোভ বেড়ে উঠল।অরণ্যের হাত থেকে কৃষিক্ষেত্রকে সে জয় করে নিলে,অবশেষে কৃষিক্ষেত্রের একাধিপত্য অরণ্যকে হটিয়ে দিতে লাগল।নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে, কেটে পৃথিবীর ছায়াবস্ত্র হরণ করে তাকে নগ্ন করে দিতে লাগল।তার বাতাস হল উত্তপ্ত,মাটির উর্বরতার ভান্ডার নিঃস্ব হল। এই কথা মনে করেই এই উৎসব,অপব্যয়ী সন্তান কর্তৃক মাতৃ ভান্ডার পূরণ করবার কল্যাণ-উৎসব।
বৃক্ষকে চতুর্দোলায় বসিয়ে,মাথায় ছাতা ধরে,নতুন অতিথি রূপে বরণ করে আনা হয়।বসানোর বেদী থাকে ফুলের আলপনায় সজ্জিত।পাঁচটি থালিতে থাকে পন্চভূতের নিদর্শন স্বরূপ জল, শঙ্খ, পাখা, প্রদীপ, মাটি।গাছটি বসানোর পর একে ,একে মাটি,জল দেওয়া হয়,বেজে ওঠে মঙ্গল শঙ্খ,প্রদীপ দিয়ে বরণ করার পর পাখা দিয়ে শিশু গাছটিকে হাওয়া করে দেওয়া হয়।নেপথ্যে হতে থাকে গান।সর্বপোরি পুষ্পবৃষ্টি করা হয় শিশু গাছটির মাথায়।কামনা করা হয় তার সুস্থতা,যেন সে ফুলে,ফলে সমৃদ্ধ হয়।প্রতি ২২ শ্রাবণে এই রীতি বিশ্বভারতীতে প্রচলিত।শোনা যায় কবির জীবদ্দশায় একবার এই অনুষ্ঠান হয়েছিল।
রবীন্দ্র প্রয়াণের আশিতম বার্ষিকী উপলক্ষে মোহর-বীথিকা অঙ্গন,শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স এর নিবেদনে, এস.পি. ক্রাফ্ট, এলমহার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিটি স্টাডিজ-এর সহযোগিতায় আয়োজিত হতে চলেছে 'শ্রাবণ আকাশে'এর ২২ শ্রাবণের এই বিশিষ অনুষ্ঠান আগামী ৮ই অগস্ট - 'বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ' অংশগ্রহণে -
আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর, শুভ্রা ঠাকুর,বীথিকা মুখোপাধ্যায়, রূপক সাহা- কর্ণধার,শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স, সুজয় প্রসাদ চট্ট্যোপাধ্যায়,প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়,ঋতপা ভট্টাচার্য,অঙ্কন রায়,সৌম্যেন সেনগুপ্ত,শরণ্যা সেনগুপ্ত,মধুজা চট্টরাজ ও শান্তিনিকেতনের বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ।যন্ত্রানুসঙ্গে সুতনু সরকার,সৌগত দাস,সত্যপ্রিয় রায়।এই অনুষ্ঠান সকাল ৯টায়, দেখা যাবে মোহর-বীথিকা অঙ্গন,শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।সমগ্র অনুষ্ঠানটির ভাবনায় ঋতপা ভট্টাচার্য এবং প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়।
No comments:
Post a Comment