কোনো জাতির ভবিষ্যৎ আলোকিত করতে শিক্ষার প্রয়োজন, আবার কোনো জাতির ভবিষ্যৎ অস্তমিত করতে হলে সবার আগে তাই শিক্ষা ব্যবস্থাতেই আঘাত হানতে হয়। বর্তমানে স্কুল খোলা বাদ দিয়ে সব কিছু হচ্ছে। ঘুরতে যাওয়া, পঞ্চাশজন নিয়ে বিয়ে। কিন্তু করোনা আবহে স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ।এই রকম একটা অবস্থায় স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন শুরু করল সমাজে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানদের
পড়াশোনা করানোর কাজ। মাস্ক পড়া সহ অন্যান্য কোভিড বিধি মেনে শুরু হল ক্লাস, তিরিশ জন পড়ুয়াকে নিয়ে।এরা সবাই কমিউনিটি কিচেনের অধীনে নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করে। মোট তিরিশটা বাচ্চার বয়স - ৪ বছর থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হয়। সকাল ১০ টা থেকে ১২.৩০টা। দুপুর ১ টায় সবাইকে কমিউনিটি কিচেনের অধীনে খাওয়ানো হয়। এদের মায়েরা বর্তমানে বেকার বলে শুধু বাচ্চারা নয় মায়েরাও খান। সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মেনেই ক্লাস হয়৷ হ্যাঁ, এদের পরিবার আছে, তবে তাতে অধিকাংশরই বাবা নেই। বাচ্চারা মায়ের সাথে থাকে। অধিকাংশের মা স্বামী পরিতক্ত্যা৷ এসডাব্লুএফ শিক্ষা শিবির পানিহাটির অস্থায়ী বস্তি এলাকায় কাজ শুরু করল এই সমগ্র কাজের নেপথ্যে লেখিকা স্বাতীলগ্না বোল।ইঁটভাটাতেও একই ভাবে পড়ানো শুরু করার ইচ্ছে আছে স্বাতীলগ্নার। বাকি বস্তিগুলোতেও কথা চলছে।
স্বাতীলগ্না বললেন," সামনে থার্ড ওয়েভ। শোনা যাচ্ছে বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হবে। অর্থাৎ স্কুল খোলার চান্স আরো কমে এল। এমত অবস্থায় আমরা কি করতে পারি? অল্পসংখ্যক বাচ্চা নিয়ে কোচিং করাতেই পারি। আমরা সবাই জানি বাচ্চাদের জোড় না থাকলে পড়ে না। কিন্তু আমরা তো ওদের পড়াতেই পারি। তাই শুরু হল স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশানের শিক্ষা শিবির বা এডুকেশান হাব।" এর জন্য অর্থ সাহায্য আসে ভবঘুরে কলমে স্বাতী বোল ফেসবুক পেজ, সংস্থার ইউটিউব চ্যানেল আর স্বাতীর ইনস্টাগ্রাম থেকে।
No comments:
Post a Comment