মানসিক দূরত্বের মধ্যে সেতুবন্ধন করে রং, সার্ফ এক্সেল এর সর্বশেষ হোলি প্রচার #রং আচ্ছে হায় - Songoti

মানসিক দূরত্বের মধ্যে সেতুবন্ধন করে রং, সার্ফ এক্সেল এর সর্বশেষ হোলি প্রচার #রং আচ্ছে হায়

Share This

 গতবছর অতিমারি আমাদের প্রত্যেককে একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। এই ঘটনা আমাদের একই অপরের মধ্যে সামাজিক ও মানসিক সংযোগের ক্ষেত্রে আঘাত হেনেছিল। যদিও আমাদের জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে মনে হচ্ছে, তাহলেও আজও কিছু কিছু  ঝুঁকিপূর্ণ অংশ যেমন প্রবীণ নাগরিকেরা নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে এখনও সামাজিকভাবে দূরে রয়েছেন। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে চাই, তাদের সঙ্গে ভ্রমণ এবং সামাজিকভাবে মেলামেশা করতে চাই। অতিমারির ঝুঁকি আমাদের ওই ভাবনা থেকে দূরে রেখেছে। আমাদের সমাজের প্রবীনদের জন্য ভাবনাটি হল, তারা দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে বসে থাকার কারণে মানসিক ও সামাজিক উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সার্ফ এক্সেল এর সর্বশেষ হোলি ক্যাম্পেইনটি তার অনন্য 'দাগ আচ্ছে হায়' ব্র্যান্ড প্রস্তাবটি নিয়ে এসেছে এবং রং কে মাধ্যম করে 'একত্রকরন'- এর ভাবনাকে তুলে ধরেছে। এই বছর দেখতে হবে কীভাবে হোলির রং গুলি মানসিক দূরত্বগুলিকে দূর করতে এবং শারীরিক দূরত্বও সত্বেও হৃদয়কে কাছে আনতে সাহায্য করে।

 

সার্ফ এক্সেল এর সর্বশেষ ক্যাম্পেইন, # রং আচ্ছে হায়-এ দেখানো হয়েছে, একটি নিরীহ ছেলের হৃদয় উষ্ণায়নের ইঙ্গিত। এখানে সে তার প্রবীণ প্রতিবেশী বন্ধু, রাঞ্চোকে সঙ্গে নিয়ে হোলি উদযাপনে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। রাঞ্চোকে সবার মত উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, সেটা বুঝতে পেরে ছেলে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তার নিজস্ব বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে রাঞ্চোকে উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করবে। ছেলেটি বলেছিল, 'মেরে হাত নেহি পৌঁছায়েঙ্গে, ইসলিয়ে রং পৌঁছা দিয়ে'। ছেলেটির বুদ্ধিমত্তা এবং রাঞ্চোর প্রতি তার সহানুভূতি হোলির আসল চেতনাকে জীবিত করে এবং দেখায় যে শারীরিক দূরত্ব মানসিক সংযোগকে বাধা দেয় না। এটাই তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞাপনচিত্রে।

 

এই ক্যাম্পেইন লঞ্চ করতে গিয়ে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ভিপি, হোম কেয়ার, দক্ষিণ এশিয়া প্রভা নরসিংহন বলেন, হোলি আমাদের দেশের অন্যতম বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রিয় উৎসব। গত দুই বছরে আমরা হোলি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমাদের অডিয়েন্সের সঙ্গে একটি শক্তিশালী মানসিক সংযোগ তৈরি করতে পেরেছি। এই বছরটি খানিকটা আলাদা। কারণ, আমরা প্রত্যেকেই এখনও অতিমারির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য পরস্পরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছি। এই শারীরিক দূরত্ব আমাদের মধ্যে মানসিক দূরত্বও তৈরি করেছে। এই বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে আমরা এই বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছি যে কীভাবে একটি ছোট ছেলে রং করার সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে উৎসবের মরসুমে একজন প্রবীণ মানুষকে উৎসবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে। এটি আমাদের 'দাগ আচ্ছে  হায়' ব্র্যান্ড দর্শনের একটি সম্প্রসারিত অংশ,যেখানে আমরা সব সময় ছোটদের ভাল কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নোংরা হয়ে যাবার বিষয়গুলিকে তুলে ধরেছি। আমরা আশা করছি যে এই উৎসবের মরসুমে মানুষ তাদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজস্ব অনন্য উপায় খুঁজতে অনুপ্রাণিত হবে।'

 

ক্যাম্পেইনের এই ধারণাটি নিয়ে বলতে গিয়ে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর কার্লোস পেরেরা বলেন, 'এই ক্যাম্পেইনটি'র প্রতিপাদ্য বিষয়টি হল, কীভাবে হোলির রং মানুষকে একত্রিত করতে পারে। এই বছর অতিমরি'র কারণে নতুন ধারণাটি তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে দায়িত্বপূর্ণ উপায়ে হোলি পালিত হতে পারে, তার প্রদর্শন করাটাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব থাকা সত্বেও হোলির রং কীভাবে আমাদের মধ্যে মানসিক একত্রীকরণ-এর মাধ্যম হতে পারে, সেই বিষয়টিকেও প্রতিফলিত করেছে এই ক্যাম্পেইন।'

 

এই ক্যাম্পেইনটি 1 মার্চ থেকে সমস্ত টিভি, ডিজিটাল ও আউটডোর মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারিত হবে।

এই হোলি মনে করাচ্ছে, চারদিকে প্রফুল্লতা ছড়াতে ভুলবেন না, কারণ, 'জো দিলও কো পাস লায়ে, ওহে রং আচ্ছে হায়।'

 

এজেন্সি ক্রেডিট:

এজেন্সি: কার্লোস পেরেইরা

সৃজনশীল পরিচালক: কার্লোস পেরেইরা

অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট: মেঘা বানসাল

প্রোডাকশন হাউস: অ্যাবসলিউট প্রোডাকশন

পরিচালক: ভাসান বালা

নির্বাহী নির্মাতা: প্রফুল শর্মা

প্রযোজক: সাধ্যা ব্যাস

 

ব্র্যান্ড টিম:

প্রভা নরসিমহান: নির্বাহী পরিচালক ও ভিপি - হোম কেয়ার, দক্ষিণ এশিয়া

বিপুল মাথুর: ভিপি - ফেব্রিক কেয়ার

আরথি শ্রীধর: ব্র্যান্ড ম্যানেজার সার্ফ এক্সেল

আয়ুষ সচদেব: ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ, সার্ফ এক্সেল

 

টিভিসি লিংক: https://youtu.be/MocKmftqNI8

No comments:

Post a Comment