সময় কখনো থেমে থাকে না। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী হোক অথবা আমাদের রাজ্যে তছনছ করা ঘূর্ণিঝড় আমফান। ইতিমধ্যে গত মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ায় পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে মাতৃপক্ষ চলছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মল মাস কেটে গেলে বিশ্বব্যাপী বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গোৎসব শুরু হবে।
অন্যান্য বছরের চেয়ে এই বছর টা সম্পূর্ণ আলাদা। করোনা মহামারী তার সাথে দীর্ঘ লকডাউনের জন্য অন্য ব্যবসার সাথে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘকালীন আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করেও কলকাতা তথা রাজ্যে যে কটি হোটেল পুজোর সময় ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করেন তাদের মধ্যে অন্যতম সল্ট লেকের গোল্ডেন টিউলিপ হোটেল। প্রতিবছর এই হোটেল পুজোর কদিন খাদ্যরসিক মানুষের কথা ভেবে নানান ধরণের খাবারের আয়োজন করে থাকেন। এই হোটেলের কর্ণধার দেবাংশ মিত্তাল বলেন, ভোজন রসিক বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো হবে আর ভুঁড়ি ভোজ হবে না তা কি করে হয়! আর তা ছাড়া সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সাত মাস সময় ধরে বাড়ির তৈরি খাবার খেয়েছেন কয়েকটা দিন না হয় চেটে পুটে বাইরের খাবারের স্বাদ নিলেন তাতে ক্ষতি কি! গোল্ডেন টিউলিপের জেনারেল ম্যানেজার সুমন্ত মাইতি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, একটা কথা জোর দিয়ে বলতে পারি সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই বছর আমরা গত বছরের চেয়ে দাম কম রেখেছি। এই বছর আমাদের ভুঁড়ি ভোজের থিম দুর্গা পুজোর মহাভোজ এবং দুর্গা পুজোর নানাবিধ। এই বছর আমরা নতুন নতুন খাবারের চমক আনতে চলেছি। যেমন আমাদের রাজ্যে থিমের ঠাকুরের পাশাপাশি সাবেকিয়ানা ঠাকুর প্রথম প্রাধান্য পায়। ঠিক তেমন ভাবেই আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যের খাবারের স্বাদ আমাদের অতিথিরা পাবেন সেই সাথে থাকবে মা, দিদা ঠাকুমার হাতের লোভনীয় সব রান্না এবং নানান ধরণের বাঙালি রান্নার পদ দিয়ে সাজানো হবে এবারের পুজোর হরেকরকম মেনু। পুজোর নানাবিধ স্পেশাল দুর্গাপূজা ফেস্টিভ্যাল সপ্তাহ শুরু হবে ১৮ অক্টোবর থেকে শেষ হবে ২৬ অক্টোবর। এবং পুজোর মহাভোজ শুরু হবে ২২ অক্টোবর শেষ হবে ২৬ অক্টোবরে। ষষ্ঠী'র চমক থাকবে চিতল মাছের ঝোল, পদ্ম পাতায় ভাপা নারকেল দিয়ে চিংড়ি মাছের পাতুরি। সপ্তমীর চমক ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে মুড়ি ঘন্ট, বঙ্গোপসাগরের চিংড়ির মালাইকারি, কমলা ভেটকি। অষ্টমীর চমক পদ্ম পাতায় মোড়া ভেটকি পাতুরি, কচি পাঠা, হাঁসের ডিমের ডাক বাংলো এবং ইলিশ পাতুরি। নবমীর চমক দই পোস্ত দিয়ে ভাপা ইলিশ, মাংসর কিমা দিয়ে আনারস পোলাও এবং লবস্টার মালাইকরি। দশমীর চমক থাকছে চিংড়ি মাছের ভাপা চচ্চরি, রাজ ঠাকুরের কষা হান্ডি এবং লবস্টার রসা। ষষ্ঠী, সপ্তমী ও দশমীর দিনের জন্য কর সমেত দাম ধার্য করা হয়েছে মাত্র ৭৯৯/- টাকা। এবং অষ্টমীর দিনের জন্য দাম ধার্য করা হয়েছে মাত্র ৮৯৯/- টাকা। লাঞ্চ টাইম দুপুরের সময় ১২ টা থেকে ৩:৩০ মিনিট পর্যন্ত। ডিনার টাইম সন্ধ্যে ৭ টা থেকে রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত। সুমন্ত বাবু জানালেন করোনা মহামারীর হাত থেকে বাঁচতে সরকারি নিয়ম মেনে সব ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসন সংখ্যা সীমিত রাখা হচ্ছে। স্যানিটাইজেশন করা হবে প্রতি মুহূর্তে, শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। বসার জায়গা টেবিল প্লেট গ্লাস স্যানিটাইজ করা হবে। সুরক্ষার সাথে কোনো আপস করা হবে না। আমরা আমাদের অতিথিদের কাছ থেকে লাভ চাই না Love চাই।
No comments:
Post a Comment