জাতীয় সড়কের উপরে টোটো অটোর দাপাদাপি, দুর্ভোগ স্থানীয়দের - Songoti

জাতীয় সড়কের উপরে টোটো অটোর দাপাদাপি, দুর্ভোগ স্থানীয়দের

Share This
পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ জেলার বুনিয়াদপুর শহরের মাঝ বরাবর ৫১২ নং জাতীয় সড়কের উপরে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে অটো ও টোটোগুলি। রাস্তার ধারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা, চলাচলের জন্য রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত হচ্ছে যানজট। যাত্রীবাহী বাসগুলি থেকে যাত্রী নামাতে পারছে না বলে অভিযোগ বাস চালকদের, ফলে প্রায় ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। পুরসভার তরফ থেকে অবশ্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


এই বিষয়ে ক্ষোভের সুরে বুনিয়াদপুর বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র রায় জানান, “শহরের মধ্যে রাস্তার ওপরে টোটো অটোগুলি সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার ধারে দোকান রয়েছে। সেগুলির সামনেও সকাল থেকে সন্ধ্যা দাঁড়িয়ে থাকে অটো টোটোগুলি ফলে সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে রাস্তা তার জন্য বাড়ছে যানজট। অথচ প্রশাসনের এবিষয়ে কোন হেলদোল নেই।” তারা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছি আমরা এ নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত বা চিত্রটা বদলাইনি।
বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ডের উপর দিয়ে গিয়েছে ৫১২ নং জাতীয় সড়ক এই রাস্তার ধারে রয়েছে শহরের সমস্ত বাজার দোকানপাট। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্ট্যান্ডের কাছে বালুর ঘাটের দিকে জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকে অটো টোটোগুলি। স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে মালদা রুটের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে অটো টোটো, আবার বুনিয়াদপুর রায়গঞ্জ রাজ্য সড়কের রাস্তার দিকে অটো টোটো গুলি লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকে।
আর এর ফলে জাতীয় সড়কের একাংশ বাসগুলির দাঁড়ানোর জায়গা থাকছে না। বেড়ে চলেছে যানজট ফাঁক গলে কোন ভাবে চলাচল করে বাসিন্দা থেকে শুরু করে পথচারীরা ফলে মাঝেমধ্যে ছোট দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এই সমস্যার দীর্ঘদিন থেকে চললেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, “এখানে সেখানে টোটো অটোগুলি দাঁড়িয়ে থাকায় একটি সমস্যা হচ্ছে। নতুন বাসস্ট্যাণ্ডে সামনে টোটো অটোগুলি রাখার জন্য চিন্তা ভাবনা করছি ওখানে একটি স্ট্যান্ড করলে আশা করি সমস্যা মিটবে।” আপাতত সমস্যা সমাধানের আশায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

No comments:

Post a Comment