পল মৈত্র, কলকাতাঃ একাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রের মৃত্যুকে ঘীরে উত্তেজনা ছড়াল গঙ্গারামপুর থানার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দামাহারে বাসল এলাকায়। মিশনের তরফে তার মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলা হলেও, পরিবারের অভিযোগ তাকে খুন করা হয়েছে। মৃতের নাম আরাফত ইসলাম (১৮)। মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিছু দিন আগে আরাফত ইসলাম নদিয়ার ধুবুলিয়ার আলহাবিব মিশনারি স্কুলে ক্লাস ইলেভেনে ভরতি হয়। সেখানেই হস্টেলে থাকত সে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, দিন তিনেকে আগে তার মাথায় ব্যথা শুরু হয়। তখন ধুবুলিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রাথমিক চিকিতসার পর রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, গতকাল ভোর রাতে তার খিঁচুনি শুরু হয়। তখন তাকে ফের স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কৃষ্ণনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। সেখানেই চিকি্তসাধীন অবস্থায় গতকাল তার মৃত্যু হয়। তখনই তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। যদিও মাথা ব্যথার জন্যই আরাফতের মৃত্যু হয়েছে, এই বিষয়টি মানতে নারাজ তার পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, মৃতদেহ খতিয়ে দেখার সময় তাঁরা মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত দেখতে পেয়েছিলেন। তাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। এরপরই মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "শুক্রবার আরাফতের মাথায় ব্যথা হয়েছিল। তখন তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অথচ তখন স্কুলের তরফে পরিবারকে ঘটনার কথা জানানোই হয়নি। ছেলে মারা যাওয়ার পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তার এমন কোনও অসুখ ছিল না যে শুধুমাত্র মাথা ব্যথার কারণে সে মারা যাবে। তাকে খুন করা হয়েছে।" অন্যদিকে মিশনের সুপার মজিবর রহমান বলেন, "ঘটনার দিন আমি মিশনে ছিলাম না। পরে খবর পেয়েছি। আরাফতকে হাসপাতালে ভরতি করার পর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। র্যাগিং বা মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি।।
No comments:
Post a Comment