ইফতারের খাওয়ার খেয়ে অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১৪ জন - Songoti

ইফতারের খাওয়ার খেয়ে অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১৪ জন

Share This
পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুরঃ ইফতার অনুষ্ঠানে খাওয়ার খেয়ে অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৪জন। অসুস্থদের মধ্যে মোট ৫৮ জন কে রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এর মধ্যে কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়ার পর বর্তমানে রসিদপুর হাসপাতালে ৩৫ জন এবং গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ২ জন চিকিতসাধীন রয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার রসিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে, গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। অসুস্থদের উপর বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমারবাবু জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর এলাকায় ইফতার অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে অসুস্থ হন গ্রামবাসীরা। ওই দিন রাতেই রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি হন ১১ জন। পরদিন অর্থাত বুধবার সকালেই ওই এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা পৌঁছান। খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার দু’দিন পরে ফের অসুস্থের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গতকাল রাত থেকে ফের হাসপাতালে ভরতি হতে থাকে অসুস্থরা। বর্তমানে সব মিলিয়ে অসুস্থদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৪ জন। যার মধ্যে মহিলা ও বাচ্চাও আছে। অসুস্থদের মধ্যে ৫৮ জন কে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বাকিদের বাড়িতে চিকিতসা চলছে। এদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এদিন রসিদপুর হাসপাতালে পরিদর্শনে যান গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে। অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে। খোঁজ খবর নেন ওষুধপত্র সরবরাহ, চিকিতসা কতটা হচ্ছে সেই সব বিষয়ে। এদিকে দাউদপুর গ্রামে এখনও মেডিকেল টিম রয়েছে। বাড়িতে যাদের চিকিতসা চলছে তাদের উপর নজর রাখছেন তারা। এছাড়াও এলাকায় দেওয়া হচ্ছে ওআরএস ও অন্যান্য ওষুধপত্র। এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ১১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ৫৮ জন কে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে ৩৫ জন রসিদপুর হাসপাতালে এবং ২ জন গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভরতি আছেন। হাসপাতাল প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। অসুস্থদের চিকিতসা চলছে। গ্রামে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি গ্রামে সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে।।

No comments:

Post a Comment