সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়:২৪হাজার বছর আগে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস মহামারী সৃষ্টিকারী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ভয়াবহতার বিবরণ দিয়ে গেছেন। ভাইরাস শব্দের সৃষ্টি ল্যাটিন শব্দ থেকে। অর্থ বিষ। তাই বলা যায় জেনে শুনে বিষ করেছি পান। আমরা প্রতি যুগে কোনো না কোনো ভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্ত হই।বিশ্বের মানুষের কাছে যা নিয়তি। অথচ সুদূর চাঁদের মত দূরের বস্তু ছুঁতে আমরা ব্যস্ত হই। কিন্তু কাছের মানুষের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ব্যবস্থা নিই না।মানবতার পরাকাষ্ঠা মার্কিন দেশ করোনার থাবায় কতটা অসহায় তা দেখলাম। এই মুহূর্তে আমরা তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম দেশ হিসেবে করোনা আক্রান্তদের তালিকায় চিনকেও অতিক্রম করে গেছি। এক ভয়াবহ অবস্থা। লকডাউনের জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের প্রান্তিক মানুষজন।শহরে ও গ্রামে অসহায় নিরন্ন লোকগুলির চোখে একটি আকুতি। একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন। একটু সহনাভূতি কি মানুষ কি পেতে পারে না বন্ধু,,,,,,? পেতে নিশ্চয়ই পারে।
কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চল নাগেরবাজার নরসিংহ এভিনিউ। এখানকার আমরা সবাই। হঠাৎ সিদ্ধান্তে মনস্থির করলেন,মানুষ নামের অস্তিত্ব বহনের একটা দায় ও দায়িত্ব আছে। ৬এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে গেল প্রান্তিক মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার মহাযজ্ঞ। একটানা ২৮দিন সীমিত ক্ষমতায় সেই দায় সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করে গেলেন ওঁরা।অভিজিৎ দত্ত, কৌশিক ধর, শান্তি রঞ্জন কুন্ডু, বাবন পাঁজা, সোমনাথ দে প্রমুখ। কমিউনিটি কিচেন পর্ব আপাতত শেষ হলো ৩১ মে।শেষদিন সন্ধ্যায় ছিল এই করোনা সংক্রমণ লড়াইয়ের সাহসী সৈনিক ডাক্তার, নার্স,স্বাস্থ্যকর্মী,পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক ছোট্ট অনুষ্ঠান।প্রতীকী মোমবাতি প্রজ্বলন।এলাকার আট থেকে আশি নাগরিক নেমে এলেন পথে মানবিক দায়বদ্ধতায়।অস্তিত্বের সংকট মুহূর্তে কিছু মানুষের বৌদ্ধিক পূর্ণতা প্রমাণ করে , আছে আছে প্রাণ আছে ।
No comments:
Post a Comment