নিসর্গের কমনীয় সবুজ দুনিয়ায়।
যেথায় অস্তিত্ব বিলীন করার আহুতি
অহর্নিশি অনুভবে পরাভব সর্বদাই।
যেথায় 'কবি-প্রকৃতি' অভিসারে
সাজায় তাদের আসর,
কবিতার মধুর ব্যঞ্জনায় সম
ফুটিয়ে তোলে বাসর ।
এ শহর, এ ব্যগ্রতা,
এ নগর, এ উগ্রতা,
কৃত্রিমতার চরম বালাই,
শশব্যস্ততার পরম দোহাই!
নখরামোর ঝাঁঝালো গন্ধ
ধূলায় ধূলিসাৎ বায়ু মন্দ,
ইট -পাথরের ঘর্ষণ,
চুম্বক-লোহার আকর্ষণ-
জীবনটা তো তেজপাতা
ঘটে নিত্য বিষ-ফোড়ন ।
পিষিয়ে দেয় কবিকে,
বিষিয়ে দেয় কবিতাকে -
মিশিয়ে দেয় আশা,
পুষিয়ে দেয় হতাশা ।
শিখায় শুধু যান্ত্রিকতা,
দেখায় শুধু অরাজকতা,
জাগাই শুধু নির্মমতা,
বুঝায় শুধু বাস্তবতা!
আত্নকেন্দ্রীকতার শৃংখল-ঘর
সবাই যেন সবার পর,
নিজেকে নিয়ে নিজেই বিভোর
আপন ভাবনায় মেদিনী বেঘোর ।
কবির আর্তনাদ কবিই বুঝে,
কবিতারা সব ছন্দ খুঁজে।
যেন ক্রমশ: অনামিকার আংটি থেকে স্লো-পয়জন দিয়ে দিয়ে
দুধে আলতা বাদামী অবয়বটি এখন একটা আস্ত বন্য নীল গাই!
কিংবা.. চারদেয়ালের আবদ্ধ, নিশ্ছিদ্র, অন্ধ কুঠুরিতে
তিলে তিলে, ধুকে ধুকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আনারকলি।
No comments:
Post a Comment